Ban Tobacco Products: নেশার দ্রব্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য, আগামী এক বছর বিক্রি হবে না পান মসলা বা গুটখা জাতীয় দ্রব্য। মুখে বলে বা নানা রকম সচেতনতামূলক ক্রিয়া-কলাপের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর সেই কারণেই রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে নতুন উদ্যোগ নিল সরকার। নেশা দ্রব্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী এক বছরের জন্য পানমশলা, গুটকা বা ওই জাতীয় কোন প্রকার তামাক দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ থাকবে রাজ্যে। এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
যদিও এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০১১ সালে প্রকাশিত খাদ্য সুরক্ষা ও গুণমান বিধির উপর জারি করা নিয়ন্ত্রিত এবং নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। হঠাৎ এমন পদক্ষেপ নেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য রাজ্যবাসীর জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা। বিভিন্ন নেশা দ্রব্য থেকে সাধারণ মানুষের জীবনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা আটকানোর এটি একটি পন্থা মাত্র। সাধারণ মানুষ এতে উপকৃত হবেন বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। যারা কোনভাবে নেশার দ্রব্য ছাড়তে পারছেন না, এই নিষেধাজ্ঞার (Ban Tobacco Products) দ্বারা সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন তারাই।
২০০৬ সালে প্রকাশিত খাদ্য সুরক্ষা ও গুণমান আইন অনুযায়ী, তামাক জাতীয় বা নিকোটিন জাতীয় দ্রব্যকে ক্ষতিকারক বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পান মশলা বা গুটখার মতন তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণের ফলে সাধারণের স্বাস্থ্য হননের প্রবল আশঙ্কা দেখা দেয়। এই তামাকজাত দ্রব্যের কারণে হতে পারে হৃদরোগ, ফুসফুসের সমস্যা। ক্যান্সারের মতন মারোন রোগেরও শিকার হতে পারে সাধারণ মানুষ। আর সেই কারণেই এই সমস্ত দ্রব্যের বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা (Ban Tobacco Products) জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কাউন্সেলিং! জেনে নিন কবে থেকে!
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বহুদিন ধরেই তামাকজাত দ্রব্যের উপরে নিষেধাজ্ঞা (Ban Tobacco Products) জারি করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই পদক্ষেপ একটু একটু করে গ্রহণ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এর আগে বহুবার এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়িয়েছে। কিন্তু এবার আর সময়সীমা বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। আগামী ৭ই নভেম্বর থেকে রাজ্যে গযাখা বা পান মশলা জাতীয় যেকোনো তামাকজাত বা নিকোটিন জাতীয় দ্রব্যের বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ (Ban Tobacco Products) থাকবে। সাধারণ মানুষ বিশেষত যুবক বৃন্দকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে এবং তামাকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা (Ban Tobacco Products) নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। বেশিরভাগ মানুষই এই নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করলেও, বহু মানুষ এর বিরোধিতাও করছেন। অনেকের মতে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে জীবিকার দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বহু মানুষ। সাময়িক ক্ষতির কারণ হলেও এই নিষেধাজ্ঞা অনেক দীর্ঘ মেয়াদী সময়ের জন্য জনস্বাস্থ্যে সুপ্রভাব বিস্তার করতে সফল হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।