LPG Cylinders: সরকারের তরফে মাত্র ৪৫০ টাকায় মিলছে এলপিজি সিলিন্ডার, কিভাবে করবেন আবেদন

LPG Cylinders: রান্নাঘরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় জিনিস হলো এলপিজি সিলিন্ডার। আজকাল কাঠের রান্নার চল প্রায় উঠেই গেছে। সেই জন্য গৃহস্থের রান্না ঘরে রান্নার গ্যাস না হলে পুরো অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। আর মূল্যবৃদ্ধির কারণে দিনে দিনে সব কিছুর দামের সাথে রান্নার গ্যাসের দামও বেড়েছে। নয় নয় করে হাজারের ধাক্কায় এখন এর মূল্য। বিশেষত গরীব ও মধ্যবিত্ত বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্যের ভার বহন একটি আলাদা চাপ সৃষ্টি করে আসছে। এবার সেই চাপ কমাতেই বিশেষ ছাড়ে পরিবারগুলির হতে তুলে দেওয়া হবে কম খরচের রান্নার গ্যাস।

রেশন কার্ড থাকলেই ৪৫০ টাকায় পাওয়া যাবে এলপিজি সিলিন্ডার (LPG Cylinders)! নতুন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছে লক্ষ লক্ষ সাধারণ পরিবার। বর্তমানে বাড়তে থাকা মূল্যে মধ্যবিত্ত থেকে গরীব সবার আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠছে। বিশেষত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে জীবনযাত্রার খরচও ক্রমে বাড়ছে। আয় একই থাকলেও বেড়ে চলা ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র সরকার একটি নতুন সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে।

জানা যাচ্ছে এবার রেশন কার্ড থাকলেই পাওয়া যাবে ৪৫০ টাকার সিলিন্ডার (LPG Cylinders)। তবে এর জন্যও মানতে হবে কিছু নিয়ম। যথা:

  1. এলপিজি আইডি ও রেশন কার্ড লিংক: সিলিন্ডারের খরচ কমানোর জন্য এই বিশেষ ভর্তুকি পেতে গ্রাহকদের অবশ্যই এলপিজি আইডি ও রেশন কার্ড লিংক করাতে হবে।
  2. ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন: নিজের তথ্য দিয়ে অবশ্যই ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের নিজের রেশন কার্ডের সাথে আঁধার লিংক করা বাধ্যতামূলক।

আরো পড়ুন: ট্রেনের কনফার্ম টিকিট কাটার ক্ষেত্রে জারি নতুন নিয়ম

উপরোক্ত দুই পদক্ষেপ সম্পন্ন হলে রেশনকার্ড থাকলেই গ্রাহকরা ৪৫০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG Cylinders) পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষত গরীব ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে দৈনন্দিন জীবনের অর্থনৈতিক চাপ কমাতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পথে ব্রতি হয়েছে।

আশা করা যাচ্ছে সরকারের এই প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ পরিবার বিশেষ ভাবে উপকৃত হতে চলেছেন। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশের গরীব পরিবারগুলির মধ্যে স্বল্পমূল্যে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেলো। আশা করা যাচ্ছে যেসব পরিবারের আয় কম এবং অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে আছেন এই প্রকল্প তাদের জন্য বড় সাহায্য হবে বলে অনুমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *