GSAT 20 Satellite: ইসরোর নতুন মাইলফলক পার, মহাকাশে পৌঁছালো জিস্যাট ২০

GSAT 20 Satellite: বিজ্ঞান যেভাবে দ্রুত উন্নতি পাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে ভিন গ্রহের প্রাণীদের সাথে যে খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ হতে পারে একথা বলাই বাহুল্য। বৃষ বৃহত্তম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে আমেরিকার নাসা! এর পরেই রয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (ISRO)! চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ থেকে শুরু করে একাধিক বিজ্ঞান সহায়ক কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো কোনো দিকেই আর পিছিয়ে নেই এই ভারতীয় সংস্থাটি। যার জন্য বিগত কয়েক বছরে বিশ্বের দরবারে ভারতের নাম আরও উজ্জ্বল হয়েছে।

এবার নতুন কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠালো ইসরো। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি ইসরোর (ISRO) তরফে অত্যাধুনিক কৃত্রিম উপগ্রহ জিস্যাট ২০ (GSAT 20 Satellite) পাঠিয়ে দেওয়া হলো মহাকাশে। এদিন আমেরিকার মাটি থেকে এই সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব হলো। ভারতীয় সময়ের সোমবার মধ্যরাত্রে আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে এই উৎক্ষেপণ করে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স। জানা যাচ্ছে এই সংস্থার ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে এই উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়েছে।

যাত্রা পথে মাত্র ৩৪ মিনিট সময় নিয়ে মোটামুটি ৪ হাজার ৭০০ কেজি ওজনের এই জিস্যাট ২০ (GSAT 20 Satellite) হলো একটি ভারতীয় বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহ। জানা যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সুবিধা এবং বিমানে ভ্রমণকারী যাত্রীদের ইন্টারনেট পরিষেবা দিতেই এই কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। ইসরোর (ISRO) বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আর. দুরাইরাজ স্বয়ং কেপ ক্যানাভেরাল থেকে এর উপর নজর রাখছিলেন। তিনি এদিন জানান উপগ্রহের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে এবং এই কৃত্রিম উপগ্রহটি যথাস্থানে গিয়ে পৌঁছেছে।

আরো পড়ুন: BSNL নিয়ে এলো ন্যাশনাল ওয়াইফাই রোমিং, দেশের যেকোনো জায়গায় মিলবে হাইস্পিড ইন্টারনেট

ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবা আরও উন্নত করতে আগামী ১৪ বছর ধরে পরিষেবা দিতে চলেছে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি (GSAT 20 Satellite)। চলতি বছরের শুরুতেই ইসরোর (ISRO) তরফে ইলন মাস্কের সাথে কাজ করার কথা জানানো হয়। যদিও এর আগে একক কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির কাজও করেছে ইসরো। যেহেতু এই নতুন উপগ্রহটির ওজন কিছুটা বেশি তাই স্পেস এক্সের সহযোগিতা নিতে হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

সোমবারের মধ্যরাতে কেপ ক্যানভেরালের স্পেস কমপ্লেক্স ৪০ থেকে ক্ষেপণ করা হয় এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে। এই কমপ্লেক্সটি বর্তমানে মাস্কের সংস্থা ব্যবহার করে থাকে। অন্যদিকে দেশে বসে বেঙ্গালুরুর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে সরাসরি এর দিকে নজর রেখেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথান। এদিন উৎক্ষেপণের পর তিনি জানান এই কৃত্রিম উপগ্রহটি আগামী ১৪ বছর কাজ করে যাবে। এটি পর্যবেক্ষণের সমস্ত পরিকাঠামো দেশে তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *