NOC: এনওসি ছাড়া নিষিদ্ধ প্রাইভেট প্র্যাকটিস, কড়া নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য ভবন

NOC: এনওসি ছাড়া নিষিদ্ধ প্রাইভেট প্র্যাকটিস, কড়া নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। বেশিরভাগ চিকিৎসাকই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সঙ্গে জড়িত। তা সে সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত হোক বা না হোক। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালের সাথে জড়িত ডাক্তাররা বেসরকারি প্র্যাকটিস করার অনুমতি পান না। তারপরেও বেআইনিভাবেই চলছে এই কাজ। সেই সমস্ত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। এনওসি ছাড়া এই কাজ করা যাবে না। সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে।

সরকারি হাসপাতালে কাজ করে সেখানকার মাসিক বেতন এবং একাধিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবে। আবার প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মোটা টাকা উপার্জন করবে। এই দুটি কাজ একসাথে চলতে পারেনা। সেই কারণেই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলির প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে ডাক্তারদের। কিন্তু তারা অনেক ক্ষেত্রে এটা ভুলে যাচ্ছেন। সেই কারণেই এই নিয়ম চালু করতে বাধ্য হল স্বাস্থ্য ভবন। এখন থেকে আর এনওসি (NOC) ছাড়া প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না ডাক্তাররা।

স্বাস্থ্য ভবনের এই সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি জানিয়েছে নবান্ন। তবে এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইনে এই নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতদিন এই আইনে কোনো রকম কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলেও, এবার এই আইনটি নিয়ে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এখন থেকে এনওসি (NOC) ছাড়া বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন না কোন ডাক্তার। সার্জারি করানোর ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের এনওসির।

আরো পড়ুন: এবার আর হাইস্কুল নয় ক্লাস ফাইভে পড়তে হবে প্রাইমারি স্কুলেই

এবার প্রশ্ন উঠতেই পারে, ২০১৭ সাল থেকে চালু থাকা আইনে কেন এতদিন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? যদি এই নিয়মে কড়াকড়ি করা হয় তাহলে নার্সিংহোমগুলি একটু সমস্যায় পড়ে যেতে পারে। কারণ যে সমস্ত ব্যক্তি আর্থিকভাবে স্বকরাল, যারা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন তারা সমস্যায় পড়বেন। বিশেষত সরকারি হাসপাতালের বেশ কিছু চিকিৎসকরা বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা প্রদান করেন বলেই একাধিক স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করা সম্ভব হয়েছিল নার্সিংহোমগুলিতে। কিন্তু এনওসির (NOC) কারণে সে সমস্ত প্রকল্পগুলি নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এইসব কথা চিন্তা করেই এতদিন এই বিষয়ে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

কিন্তু এর অপব্যবহার করেছেন ডাক্তাররা। অভিযোগ রয়েছে একাধিক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এমনকি কিছুদিন আগেই যে সময় আরজিকর কান্ড কে কেন্দ্র করে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে বসে ছিলেন, সেই সময় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কর্ম বিরতি চলছিল ডাক্তারদের। অথচ একই সময় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছিলেন তাদেরই মধ্যে কয়েকজন। এই ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে। তাও আবার একজন, দুজন নয় প্রায় ৫৩৭ জনের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। সেই কারণেই সরকারি সুবিধার অপব্যবহার রুখতে এনওসি (NOC) সংক্রান্ত আইনে কড়াকড়ি করলো সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *