Vinod Kambli: বিপদে পাশে দাঁড়াইনি বন্ধু, বিস্ফোরক মন্তব্য বিনোদ কাম্বলির। এক সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন বিনোদ কাম্বলি। তারপর নিজের দোষেই হারিয়েছেন সবকিছু। সম্প্রতি আবারো খবরের শিরোনামে উঠে আসছে তার নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একাধিক ছবি ও ভিডিও। শারীরিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। একা হেঁটে চলাফেরা করার ক্ষমতাও তার নেই। অন্যের সাহায্যে চলাফেরা করতে হচ্ছে তাকে।
শচীন তেন্ডুলকার এবং বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। ক্রিকেটের দুনিয়ার এই কিংবদন্তি জুটির বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। একেবারে শৈশব থেকেই ছিল তাদের বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব পৌঁছেছিল জাতীয় স্তরে ক্রিকেটের মাঠ পর্যন্ত। কিন্তু সেই সম্পর্ক একসময় নষ্ট হয়ে যায়। ২০০৯ সালে বিনোদ কাম্বলি এবং সচিন তেন্ডুলকারের সম্পর্ক একেবারেই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল। প্রথম জীবনে বন্ধুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত বন্ধুর বিপদে কিন্তু পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শচীন তেন্ডুলকার।
বিনোদ কাম্বলি নিজের মুখেই বর্ণনা করেছেন সে কথা। তিনি জানিয়েছেন একটা সময় ছিল যখন শচীন তাকে সাহায্য করতে চায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে তার দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়। দুবার অস্ত্র প্রচার করতে হয়েছিল তার হার্টে এই সময় তার স্ত্রী তাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই পাশে এসে দাঁড়ায় শচীন তেন্ডুলকার। কাম্বলি বলেছেন, শচীন না থাকলে তার পাশে দাঁড়ানোর মত হয়তো আর কেউ ছিল না। যতটুকু সাহায্য পেয়েছেন তা বন্ধুর কাছ থেকেই পেয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানও সব সময় তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনে যা ভুল করেছেন সমস্ত কিছু ভুলে আবারো নতুনভাবে বাঁচতে চান বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে।
আরো পড়ুন: মাত্র ১৮ বছরেই দাবায় বিশ্বজয় ডি গুকেশের, কত টাকা পেলেন পুরস্কার
খেলোয়াড় হিসেবে কম বয়সেই অত্যাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। একের পর এক সাফল্য ছুঁয়ে ছিলেন অনায়াসে। একটা সময় ছিল যখন শচীন তেন্ডুলকার এবং বিনোদ কাম্বলিকে জুটি বেঁধে খেলতে দেখা যেত। সেই সময় অবশ্য শচীনের তুলনায় কাম্বলিকেই বেশি প্রতিভাবান বলে মনে করতেন সমর্থকরা। স্কুল ক্রিকেটে রেকর্ড রান করেছিল এই জুটি। মিলিতভাবে ৬৬৪ রানের রেকর্ড করেছিলেন তারা। তবে দেশের জার্সিতে বেশিদিন খেলার সুযোগ পাননি বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। তবে তার কারণ অবশ্য তিনি নিজেই। মাত্র ৭ বছর খেলার পরই অন্ধকারে তলিয়ে যান তিনি। মদ, মেয়ে মানুষ, বেহিসেবি জীবনযাপন সবকিছু মিলে একটু একটু করে অধঃপতনের দিকে এগিয়ে যান তিনি।
এক সময় কোটি টাকার মালিক ছিলেন যিনি, আজ তিনি প্রায় সর্বস্বান্ত। বোর্ডের দেওয়া পেনশনের টাকায় চলছে সংসার। এক সময় বড় বড় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলি তাকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। অথচ এখন আর তেমনভাবে তার খোঁজও নেয় না কেউ। নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিজের হাতেই নষ্ট করে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। একটা সময় একের পর এক রেকর্ড তৈরি করেছেন অথচ এখন সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারেন না। অন্যের সহায়তায় চলাফেরা করতে হয় তাকে।