Bally Station: ভারতের মতো বিশাল দেশে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় রেল। দেশ থেকে রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে রেল লাইন। একেকটি স্টেশনের একেক রকম নাম দেওয়া রয়েছে। আর সেই প্রতিটি নামের পিছনে রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। সেরকমই কখনও ভেবে দেখেছেন রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় স্টেশন বালি স্টেশনের নামকরণ বালি করা হয়েছে কেনো! এর পিছনেও রয়েছে বিরাট ইতিহাস। জানুন বিস্তারিত।
বর্তমানে দেশে ৭০০০টির বেশি স্টেশন রয়েছে। আর প্রতিটি স্টেশনের পিছনেই রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। কিছু তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এলাকার মানুষের মুখে মুখে বহুল প্রচলিত হয়ে থাকে। আজ আলোচনা করব আমাদেরই রাজ্যের একটি জনপ্রিয় স্টেশন বালি স্টেশনের (Bally Station) ইতিহাস নিয়ে। হাজার হাজার ট্রেন চলা এই স্টেশনের নাম কোনো মরুভূমি বা খাদান না হওয়া সত্ত্বেও কেনো এই নামকরণ তার পিছনে রয়েছে একাধিক মতবাদ।
বালি স্টেশনের (Bally Station) নাম শোনেননি বা ওই এলাকার উপর দিয়ে যাতায়াত করেননি এমন মানুষ বাংলার মাটিতে অনেক কমই রয়েছে। নেই কোনো বালির খাদান বা মরুভূমির চিহ্ন না থাকলেও এরকম অদ্ভুত নামকরণের কারণ সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। আজকের প্রতিবেদনে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুন: ঝকঝকে আবহাওয়া, শিলিগুড়ি থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার
যেসব মানুষ এই বালি স্টেশনের (Bally Station) নাম শুনছেন তাঁরা হয়তো ভাববেন এই এলাকার নামের সাথে বালির ব্যবসা বা এই ধরনের কোনো সংযোগ তো রয়েছেই। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত হলেও কখনও হয়তো কেউ ভেবেই দেখেননি কিভাবে এই স্টেশনের নাম বালি হয়েছে। অনেকের মতে হুগলি নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শহরটি গড়ে ওঠায় নদীর পলি বালি মাটির উপরে গড়ে ওঠায় শহরের নাম হয় বালি, আবার অনেকে মনে করেন একসময় এর নিকটবর্তী অঞ্চলে হলুদ আমদানি রপ্তানি করা হতো আর হলুদের হিন্দি প্রতিশব্দ থেকেই অঞ্চলটির নাম বালি রাখা হয়েছে।
তবে আসল তথ্য হিসেবে বলা যায় বালি স্টেশনের (Bally Station) সংলগ্ন এলাকায় ছিল একটি জুট মিল। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জেমস বালি (James Bally)! যার থেকে ওই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের কর্মসংস্থান হয় ফলে তার এই অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই শহর এবং স্টেশনের নাম বালি রাখা হয় বলে জানা যায়। বর্তমানে এই রেল স্টেশনে ৭টি প্লাটফর্ম রয়েছে যার মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।