HMPV Virus: আবার নতুন ভাইরাস আতঙ্ক চীনে, ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ

HMPV Virus: চীনে আবারও বাড়ছে ভাইরাস আতঙ্ক। শীতের শুরুতেই ভাইরাস আতঙ্কে জড়োসড়ো চীন। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাড়বাড়ন্ত লক্ষ করা গিয়েছে মেটাপনিউমো ভাইরাসের। পাঁচ বছর আগেই চীনা ভাইরাস করোনা গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছিল। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত বহুল জনবসতির দেশ হওয়ার জন্য ভারতে করোনার মারণ থাবায় জর্জরিত হয়ে গেছিল ভারত।

সম্প্রতি চীনের নতুন এই ভাইরাস আতঙ্কের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে নতুন এই ভাইরাস বেশি সংক্রমক। এবং ইতিমধ্যেই ওই দেশের বহু কিশোর এবং শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাস দ্বারা। ফলে স্বভাবতই এই খবর উস্কে দিচ্ছে কোভিড স্মৃতি। ২০১৯ সালে চিনেই প্রথম দেখা দিয়েছিল কোভিড ভাইরাস। ইউহান প্রদেশ থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড। এর পরের দুর্বিষহ মৃত্যুমিছিল দেখেছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসের পক্ষ থেকে মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV Virus) সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হয়েছে।

করোনা কালে চলেছিল মৃত্যুমিছিল। লকডাউনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমাজ এবং অর্থনীতি। তবে এই নতুন ভাইরাস নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো আশঙ্কার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখ পাত্র মাও নিং জানান যে শীত ও বসন্তে স্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ফলে সকলেই এখন চীনের নাগরিক এবং পর্যটকদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। তবে তাঁর মতে চীন ভ্রমণ করা এখন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।

আরো পড়ুন: সবসময় ভালো লাগেনা, মানসিক অবসাদের পিছনে কোন ভিটামিন জানেন

DGHS সংস্থার এক চিকিৎসক জানান চীন থেকে একটা মেটাপনিউমো ভাইরাসের (HMPV Virus) বিষয়ে খবর এসেছে। এই ভাইরাসও অন্যান্য যেকোনো শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণকারী ভাইরাসের মতো। এরও উপসর্গ সর্দি, কাশি। এই ভাইরাস খুব বয়স্ক এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে ফ্লু-এর উপসর্গ তৈরি করতে পারে। তবে গত ডিসেম্বরে এই ভাইরাসের কোনো উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়নি।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান শীতকালে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণকারী ভাইরাসগুলির (HMPV Virus) উপদ্রব বাড়ে। ফলে এর জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত থাকে। এই সময় কারো অতিরিক্ত কাশি বা সর্দি থাকলে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। আলাদা ঘর ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। এই সময় প্রয়োজনীয় সাধারণ ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে নিষেধ করেছেন তিনি। এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা নজর রাখছে বলে জানান তিনি। তাই আপাতত কোনো চীনা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই বলে জানিয়েছে DGHS।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *