Potato Export: আলু রপ্তানি এবং আমদানি নিয়ে রাজ্য বনাম ব্যবসায়ী ঠাণ্ডা সংঘাত তুঙ্গে। আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও হিমঘর মালিকরা কৌশলে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারও ঘুরিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সেই সিদ্ধান্তের পর ব্যবসায়ী সমিতি ও হিমঘর মালিকরা কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটাই দেখার।
কিছু মাস যাবত বন্ধ রয়েছে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি (Potato Export)। জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সোমবারে আলু সমস্যার জট কাটানোর জন্য বৈঠকের আয়োজন করা হলেও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য পরিষ্কার জানিয়েছে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি করা যাবেনা। আগে ভাবতে হবে বাংলার মানুষের কথা। রাজ্যের কোনো পণ্য রপ্তানির আগে পণ্য রপ্তানিতে রাজ্যের মানুষের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে তবেই সহমত পোষণ করে রাজ্য। আলুর রপ্তানিতে (Potato Export) তাই বাংলার মানুষের কথা ভেবে নাকচ করল রাজ্য।
চলতি বছরেই আলু ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই দুবার কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। শুরু থেকেই তাদের দাবি ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিতে হবে রাজ্যকে। এছাড়াও রাজ্যের সীমানায় পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিল আলু ব্যবসায়ীরা। জানা যাচ্ছে রাজ্যের সীমানায় ব্যবসায়ীদের উপর পুশিলের জোর জুলুম সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে আলুর দাম কমানো নিয়ে লাগাতার চাপ আসছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর সেই জন্যই গত ২২শে জুলাই কর্ম বিরতির পথে হেঁটেছিল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
আরো পড়ুন: অবশেষে মূল্যবৃদ্ধির ছাপ কলকাতা মেট্রোতেও, বাড়তে চলেছে ভাড়া
সেবার শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমঝোতায় কর্মবিরতি তুলে নেয় আলু ব্যবসায়ীরা। তবে এবার রাজ্যের তরফে কোনো রকম সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য। প্রস্তাবও আসেনি। কঠোর ভাবে জারি রেখেছে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানির (Potato Export) নিষেধাজ্ঞা। দ্বিতীয় বারের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে আলু ব্যবসায়ীরা। জানা যাচ্ছে এই মর্মে প্রায় ৫০০টি হিমঘর বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ী সমিতি। তবে এই ধর্মঘট কতদিন স্থায়ী হবে সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
তবে রাজ্য এবং আলু ব্যবসায়ীদের এই সংঘাতে যদি দীর্ঘদিন হিমঘর বন্ধ থাকে তবে বাজারেও হু হু করে বাড়বে আলুর দাম। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অসুবিধার মুখে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে। এই সুযোগে বাজারে রমরম করে বেড়ে উঠবে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারবার। ফলে এই সংঘাতে যে সাধারণ মানুষ বেশি সমস্যায় পড়বেন সেই কথা অস্বীকার করা যায়না।