Share market: শেয়ার বাজারে হল বড় পতন, কত দিনে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? বেশ কিছুদিন ধরে প্যালেস্তাঈন লেবানন এবং ইসরাইলের মধ্যে চলছে সামরিক সংঘাত। সম্প্রতি ইসরাইলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ইসরাইল। তারাও এর পাল্টা জবাব দেবেন বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে। এখন যদি এই দুই দলের মধ্যে সত্যি সত্যি সামরিক যুদ্ধ লাগে তাহলে তা গোটা বিশ্বের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যে শেয়ার বাজারে (Share market) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শেষ কিছুদিনে বাজারে ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাত্র ২ দিনে ২৫৭৭ পয়েন্ট হারিয়েছে সেনসেক্স। ২৭ শে সেপ্টেম্বর থেকে এই পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শেষ পাঁচ দিনে পতনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.৮৩ শতাংশ।
যুদ্ধ শুরু হলে জ্বালানির দাম হবে আকাশ ছোঁয়া। গোটা বিশ্ব জুড়ে এই প্রভাব দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানির তেলের দাম। পেট্রোল বা ডিজেলের দাম কমানো নিয়ে আর কোন দাবি তোলা যাবে না। ইতিমধ্যে সুয়েজ খালের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হলে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতীয় বাজারে। পণ্য পরিবহন করা হয়তো সম্ভব হবে, কিন্তু তাতে সময় এবং খরচ দুটোই অনেক বেড়ে যাবে। তার উপর যদি তেলের দাম বা পরিবহন খরচ বাড়তে থাকে তাহলে মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খল ভঙ্গ হলে পণ্য উৎপাদনের দিক থেকেও ঘাটতি দেখা যাবে। এইভাবে চলতে থাকলে সুদ কমার যেটুকু আশা দেখা গেয়েছিল ২০২৪ এ তা আদতে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Share market) ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণ শুধুমাত্র যুদ্ধ নয়, এর পেছনে রয়েছে চীনের হাত। চীনের পক্ষ থেকে নতুন করে আর্থিক উৎসাহ জোগানোর ভরসা দেওয়া হয়েছে। আর সে কারণেই অনেক বিদেশী সংস্থা ভারত থেকে ব্যবসা তুলে চীনের বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। শেষ কয়েকদিনে ভারত থেকে প্রায় ২৫১৪৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সে়বির কিছু কড়া পদক্ষেপের কারণেও বিনিয়োগ কমছে।
উৎসবের মরশুমে এইভাবে শেয়ার বাজার (Share market) পড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হলে বাজার যে তলিয়ে যাবে তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু যদি এই বিষয়টিকে এড়ানো যায়, তাহলে বাজার আবার অনেক উপরের দিকে উঠতে চলেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের সময় ওই একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেছিল। বরঞ্চ পতনের হার ছিল অনেক বেশি। কিন্তু সেই পরিস্থিতির সামলে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি ভারতীয় শেয়ার বাজার।
এই অস্থির পরিস্থিতির মাঝেও ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Share market) আসতে চলেছে সব থেকে বড় পাবলিক ইস্যু। ২৫ হাজার কোটি টাকার ইস্যু আনতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা হুন্ডাই মটরস। খাদ্য পরিবহন সংস্থা সুইগি তাদের প্রস্তাবিত আইপিএওর পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়েছে। বর্তমানে ৫০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে সুইগির আইপিও। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি অবশ্যই আকর্ষণীয় বিষয়।