Digital Arrest: প্রতারণার নতুন ফাঁদ ডিজিটাল অ্যারেস্ট, কিভাবে বাঁচবেন

Digital Arrest: অনলাইন প্রতারণার আরও একটি ভয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest)! দিনের পর দিন আর্থিক জালিয়াতির চক্র এতটাই বেড়ে উঠেছে যে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে গিয়েছে প্রশাসনের পক্ষেও। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলেই এই ভাবে প্রতারণা হয়েছে ১২০.৩০ কোটি টাকার। বিষয়টি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে যে এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে স্বয়ং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে দেশের সমস্ত নাগরিকদের এই বিষয়ে সাবধান করেছেন।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) আসলে কি

এক্ষেত্রে প্রতারকরা তাদের টার্গেটকে অডিও বা ভিডিও কল করে নিজেদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার CBI, নারোটিক্স শাখা, আরবিআই, ট্রাই, শুল্ক বা আয়কর বিভাগের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকছে। কথার শুরুতে টার্গেট ব্যক্তিকে আধার বা ফোনের অবৈধ ব্যবহার, নারকোটিক কনসাইনমেন্টের সাথে যোগাযোগ বা মানি লন্ডারিংয়ের মতো মামলার কথা বলে ভয় দেখাতে থাকে। এই বিষয়ে বারবার ফোন করে ভিডিও কলের মাধ্যমে নজর বন্দী করা হয় টার্গেটকে। এরপর তার পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলা থেকেও আটকে রাখা হয়।

এরপর পরিচয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইউনিফর্ম পড়া ছদ্মবেশে হাজির হন একজন অফিসার। এরপর আরো ঊর্ধ্বতন অফিসারের সাথে যোগযোগ করা হচ্ছে বলে আটকে রাখা হয়। এরপর তাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) করার হুমকি দেওয়া হয় এবং পরিবর্তে আরও নিখুঁত করে পাঠানো হয় ডিজিটাল অ্যারেস্টের মেমো। এতে করে টার্গেট বুঝতেও পারেনা যে তাঁরা সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে পড়েছেন। এরপর টাকা হাতানোর জন্য ওই ব্যক্তির কোথায় কি বিনিয়োগ আছে তা দেখাতে বলা হয় এবং টাকা ট্রান্সফার করতে বলা হয়। অনেকসময় দাবি করা হয় ভেরিফাই করার জন্য টাকা সিজ করা হচ্ছে তবে কোনো রকম যোগসূত্র না পাওয়া গেলে পুনরায় ফেরত দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন: রিজার্ভ সিট দখল হয়ে গেল সুরাহা মিলবে TTE এর থেকে, শুধু করতে হবে এই কাজ

কখনও বা মামলা থেকে মুক্তির শর্তে মোটা টাকা দাবি করা হয়। টাকা না পাঠালে কঠিন শাস্তির ভয় দেখানো হয় ওই ব্যক্তিকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত টাকা হাতানো যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ডিজিট্যাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) ভয় দেখাতে থাকে প্রতারকরা। ভয় দেখিয়েই নির্দিষ্ট সীমায় আটকে রাখা হয় ওই ব্যক্তিকে। এভাবেই সাইবার ক্রাইমের (Cyber Crime) মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

জানা যাচ্ছে লাওস, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমারের মতো দেশগুলিতে বসে এই প্রতারণা চক্রগুলি চালনা করা হচ্ছে। তবে এর সাথে যুক্ত আছে দেশের এক্টিভ প্রতারণা চক্রও। তারাই মূলত দেশ থেকে নতুন সিম এবং তথ্য তুলে দিচ্ছে এই বৈদেশিক প্রতারণা দলের হাতে। এটিই এখন কলকাতা পুলিশের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি অভিযোগ দায়ের হচ্ছে এই সাইবার ক্রাইম চক্রের জন্য। ইতি মধ্যেই ভারতের বড় শহর গুলিতে তল্লাশি করে ৫০ জনেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছে। তাই দেশের নাগরিকদের মাথায় রাখতে হবে ভারতের কোনো আইনে ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) অস্তিত্ব নেই। তাই এই ধরনের ফোন পেলে কোনো তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *