Musty Smell of Sweater: বাইরের শীতল হাওয়া গায়ে লেগে জানান দিয়ে যাচ্ছে যে বাংলার দোর গোড়ায় এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে শীত। রাতে বিছানায় শীতের চাদর গায়ে না দিলে শীতের কনকনে ভাব বেশ মালুম হচ্ছে।রাতে বাইরে বেরোলে সোয়েটার আর মাফলার বা টুপি ছাড়া রেহাই নেই। তবে এক বছর আগের ব্যবহৃত সোয়েটারের বোঁটকা গন্ধে অপ্রস্তুত হচ্ছেন! জানুন কিভাবে গন্ধ তাড়াবেন।
দীর্ঘদিন আলমারিতে তুলে রাখা শাল, সোয়েটার, মাফলার বা হুডি থেকে বোঁটকা গন্ধ (Musty Smell of Sweater) বেরোনো অস্বাভাবিক কিছু নয়। তখন কেচে নেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকেনা। এদিকে শীতের দিনে কড়া রোদ পাওয়া যায়না বললেই চলে ফলে ভারী গরম পোশাক শুকনো করতেও হয় সমস্যা। এছাড়াও উলের জিনিস কাচার একাধিক নিয়মও রয়েছে। ব্যবহার করা যায়না ওয়াশিং মেশিন।
এছাড়াও উলের পোশাকের সাথে সাবানের ঘষার ফলে উৎপন্ন তাপ পোশাকটির জেল্লা কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও উলের রোয়া উঠে ক্ষতি হতে পারে ওয়াশিং মেশিনেও। তাই যেকোনো উলের জিনিস কাচার আগে ওই পোশাকের সাথে যুক্ত কেয়ার লেবেলটি পড়ে নেবেন। সেখানেই এমনও কিছু সোয়েটার থাকে যেগুলোকে শুধু ড্রাই ক্লিন করা যায়। ফলে বোঁটকা গন্ধ (Musty Smell of Sweater) তারাতেও একাধিক ঝক্কি পোহাতে হয় সকলকে।
আরো পড়ুন: ঘন ঘন কান চুলকানো মোটেই স্বাভাবিক নয়, জানুন এটি কোন রোগের লক্ষণ
তবে সব থেকে সহজ এবং নিরাপদ উপায় হলো হাত দিয়েই কেচে নেওয়া যেতে পারে পছন্দের সোয়েটার, শাল বা মাফলার। বিশেষ যত্নের জন্য সোয়েটার সাবান জলে দেওয়ার আগে উলের পোশাকগুলিকে সাধারণ ঠাণ্ডা জল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে ঠাণ্ডা জল উলকে সংকুচিত হতে দেয়না। মোটামুটি ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য এই কাজটি করলে শীতের পোশাকের দীর্ঘায়ু হবে।
এরপর সাবান জল থেকে তোলার সময়ে দেখে নিতে হবে তাতে যেনো সাবানের গুঁড়ো না লেগে থাকে এবং অবশ্যই উলের পোশাক অতিরিক্ত কষে নিংড়ে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় সোয়েটার তার ঔজল্যতা হারাতে শুরু করবে। এছাড়াও সবসময় সমান জায়গায় সোয়েটার শুকোতে দিতে হয়। ভালো করে শুকিয়ে নিলে উলের পোশাকের বোঁটকা গন্ধ (Musty Smell of Sweater) হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।