Ayushman Bharat Card: এখন আর অপেক্ষা নয় মাত্র একদিনেই পাবেন আয়ুষ্মান ভারত কার্ড!

Ayushman Bharat Card: ভারত সরকারের একাধিক মানবকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে উল্লখযোগ্য একটি প্রকল্প হলো আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। এর মাধ্যমে ভারতের মানুষদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়।

ভারতবর্ষের বেশিরভাগ মানুষ অর্থনৈতিক কারণে বেসরকারি স্বাস্থ্য বীমা করে তার জন্য মোটা টাকা জমা দিতে পারেনা। এই সব মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পিএম জন আরোগ্য যোজনা সামনে আনেন। এতে সুবিধাভোগীরা সর দেশে যেকোনো রাজ্যে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পাবেন বিনামূল্যে। বলে রাখা ভালো এই সুবিধা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠান থেকেই পাওয়া যেতে পারে। এই যোজনার সুবিধা ভোগীদের দেওয়া হয় আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat Card)।

মূলত ভারতের গরীব মানুষদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াই এই প্রকল্পের এক মাত্র লক্ষ্য। এখনো পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ এই সুবিধা পেয়ে আসছেন। আয়ুষ্মান ভারত লিস্টে নথিভুক্ত রয়েছে এমন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবা কোটি কোটি গরীব মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এখন সঠিক আবেদন করলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যাবে এই কার্ড। চলুন জেনে নিই এর সুবিধা এবং আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে।

আয়ুষ্মান ভারত কার্ডের (Ayushman Bharat Card) সুবিধা

  • এই যোজনার আওতায় বর্তমানে পুরো ভারত জুড়ে ওষুধ, ক্যান্সার, যেকোনো সার্জারি ও কার্ডিওলজির চিকিৎসা সহ মত ১৯৪৯টি রোগের চিকিৎসা করা হয়।
  • এর সাথে হাসপাতালে ভর্তির তিন দিন আগে থেকে পরিষেবা, ওষুধ, ডায়াগনস্টিক, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের ১৫ দিনের ওষুধ, খাদ্য এবং আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করে বিনামূল্যে।
  • আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা এই প্রকল্পের আওতায় হয়ে থাকে।

আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat Card) করার নিয়ম

আয়ুষ্মান ভারত কার্ড করার করার জন্য এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর Am I Eligible নামের অপশনে ক্লিক করলে একটি পেজ খুলবে সেখানে নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে এবং ক্যাপচা পূরন করে লগইন করতে হবে। এরপর Search for beneficiary অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে নিজের রাজ্য বেছে স্কিমের জায়গায় PMJAY লিখে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য হিসেবে আধার বা প্যান কার্ড নিজের পরিবারের তথ্য সামনে আসবে। এরপর আপনাকে সদস্য নির্ধারণ করে তাঁর তথ্য OTP-র মাধ্যমে যাচাই করে নিতে হবে। এরপর আরো একটি পেজ আসবে যেখানে আবেদন পত্রটি সাবমিট করা যাবে। এরপর e-KYC সম্পন্ন করে আধার নম্বর ও ওটিপি দিয়ে আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ ছবি স্ক্যানিং-এর মাধ্যমে আপলোড করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিজের আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *