বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ, হাওড়া রবার পার্কে লগ্নি হওয়ার আশা কয়েক কোটি

রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করতে নয়া উদ্যোগ হাওড়ায়। তৈরি হচ্ছে হাওড়া রবার পার্ক। চলছে পুরোদমে কাজ। প্রায় ৯৬ একর জমি নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই রবার পার্ক। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় উদ্যোগেই নির্মিত হচ্ছে এই পার্ক। সম্পূর্ণ নির্মিত হলে প্রায় কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার আশা রাখছে রাজ্য। শুধু তাই না, পাশাপাশি কয়েক হাজার কর্মসংস্থানেরও সুযোগ পাবে হাওড়াবাসীরা, যা জানিয়েছেন রাজ্য শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। কত টাকা বিনিয়োগ আসতে পারে? কর্মসংস্থানই বা কত হতে পারে?

গত বুধবার সংগঠিত হয় অল ইন্ডিয়া রবার ইন্ড্রাস্টিজ অ্যাসোসিয়েশনস তরফে একটি কনফারেন্স। আর সেই কনফারেন্সে রাজ্য শিল্পমন্ত্রী জানান হাওড়ায় গড়ে ওঠা রবার পার্ক বিষয়ে। হাওড়ার সাঁকরাইলে নির্মিত হচ্ছে এই রবার পার্ক। পৃথিবীর অন্যান্য আধুনিক রবার পার্কের মতোই গড়ে তোলা হচ্ছে হাওড়া সাঁকরাইলের এই রবার পার্ক। থাকবে নানান সুযোগ সুবিধা। ফলে রাজ্য সরকার আশা রাখছে, নির্মাণের পর এই পার্কে প্রায় মোটা অঙ্কের লগ্নি আসতে পারে। যা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উপর ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মূলত পিপিডি মডেলে গড়ে উঠছে এই রবার পার্ক। যা পশ্চিমবঙ্গ সরকার, রাজ্য সরকারের শিল্প উন্নয়ন নিগম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এই রবার পার্ক নির্মাণে প্রাথমিক পর্যায়ে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি টাকা। প্রায় ১৩০টি সংস্থাকে গড়ে ওঠা রবার পার্কের জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে এক সংস্থা। খুব শীঘ্রই আরো ৬টি সংস্থা এই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। শিল্প উন্নয়ন নিগম সূত্রে খবর রয়েছে, একটি রবার সংস্থা কাজ শুরু করেছে মালদার পার্কে। অন্যদিকে ২টি সংস্থা পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে কল্যাণী শিল্পহাবে। তবে হাওড়া রবার পার্ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে কাজ শুরু করে দিলে রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: ৩২৪৩৮টি শূন্যপদ, আরআরবি গ্রুপ ডি-তে অনলাইনে আবেদন ইতিমধ্যে শুরু

শিল্পমন্ত্রী তরফে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু জায়গায় রপ্তানি করা হয় রবার এবং সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য। রাজ্যের এই রবার পার্ক সংখ্যা বৃদ্ধি হলে রপ্তানি আরো বৃদ্ধি হবে বলে আশা রাখছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর ফলে ভুটান, আরব, বিহার, বাংলাদেশ, নেপাল ইত্যাদির মতো জায়গায় এই রপ্তানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে রবার পার্ক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠলে তা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা রাখছে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।

প্রসঙ্গত, রবার গাছ উৎপাদনের কাজ চলছে উত্তরবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। যার ফলে আশা করা হচ্ছে বহু সংস্থা এই শিল্পের সাথে সংযুক্ত হতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। আর শিল্প সংস্থার বিকাশ হলে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সুবিধা তৈরি হবে। অনুমান করা হচ্ছে হাওড়া রবার পার্ক সম্পূর্ণ নির্মিত হয়ে গেলে প্রায় ১০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ-সুবিধা তৈরি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *