Income Tax Department: যথেচ্ছ লেনদেন আইনবিরুদ্ধ, বাৎসরিক লেনদেনের পরিমাণ নির্ধারণ করে আয়কর দপ্তর। বর্তমানে টাকা সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ এই দুটি বিষয়ের উপর সাধারণ মানুষের ঝোঁক অনেক বেশি। পাশাপাশি বাড়ছে অনলাইন ট্রানজেকশনের প্রবণতাও। তাই সামান্য পরিমাণ টাকাও আর কেউ হাতে রাখতে চায় না। যা আয় হয় সব কিছুই ব্যাংকে জমা করা হয়। যা খরচ হয় তা সরাসরি অনলাইন অথবা নেট ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই খরচ হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যথেচ্ছ পরিমাণ লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হয় না সাধারণ মানুষকে।
ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া এবং ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা পেমেন্ট করা এই বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার। কিন্তু বছরে ঠিক কতটুকু টাকা আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন তার পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয় আয়কর দপ্তরের (Income Tax Department) তরফ থেকে। দেশের প্রত্যেকটি ব্যাংক এবং তাতে করা প্রতিটা অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখে আয়কর দপ্তর। নিয়ম ভাঙ্গলেই নোটিশ চলে আসে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে। তাই পরিষেবা ব্যবহার করার আগে যাবতীয় নিয়মাবলী ভালো করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
সেভিংস অ্যাকাউন্ট পরিষেবা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ব্যাংকিং পরিষেবার মধ্যে বিবেচিত হয়। তাই অনেকেই মনে করেন যথেচ্ছ পরিমাণ অর্থের লেনদেন করা যায় এই অ্যাকাউন্ট থেকে। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। আয়কর দপ্তরের (Income Tax Department) তরফ থেকে প্রতিটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জন্য বাৎসরিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। দৈনিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যেতে পারে। তবে প্রতিনিয়ত তা না করাই ভালো। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠাবে আয়কর দপ্তর।
আরো পড়ুন: ৪০০ কোটি ডলারের মালিক ইলন মাস্ক, আর কি কি ব্যবসা তার
একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন আপনি যদি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যান তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাই আপনার কাছ থেকে জমা নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। একদিনে পঞ্চাশ হাজারের বেশি টাকা জমা দিতে গেলে প্যান কার্ড দেখাতে হয় ব্যাংককে। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি বাৎসরিক ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করে থাকেন, তাহলে তিনি কি করবেন? এই পরিস্থিতিতে আয়কর দপ্তরকে (Income Tax Department) এই লেনদেনের যথাযথ হিসাব জানিয়ে রাখতে হয়। অনেকেই হয়তো জানেন না যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে বাৎসরিক ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয় সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আয়কর দপ্তরে। ১৯৫২ সালের ১১৪ বি আয়কর আইনে এই নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আয়কর দপ্তরের (Income Tax Department) নোটিশ এলে প্রথমে ঘাবড়ে যাবেন না। আপনার লেনদেনে যদি কোন বেনিয়ম না হয়ে থাকে তাহলে ভয় না পেয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি একটি আর্থিক বছরে আপনি নির্দিষ্ট সীমার বেশি লেনদেন করে থাকেন, তাহলে সেই লেনদেনের যাবতীয় হিসাব আপনার কাছে থাকা বাঞ্ছনীয়। যাতে আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে কোন নোটিশ পাঠানো হলে আপনি তার জবাবে আপনার বৈধ লেনদেনের হিসাব তাদের দিতে পারেন। নোটিশ এলে সমস্ত বৈধ তথ্য নিয়ে আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করবেন। আপনার দেওয়া তথ্য থেকে কোন প্রকার গোলমাল না থাকলে কোন প্রকার সমস্যারও সৃষ্টি হবে না।