India: সন্তান লালনের ক্ষেত্রে আমেরিকার থেকেও ভারত, বললেন এই মার্কিন তরুণী

India: বিশ্বের অন্যতম ধনী এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাও কেন সন্তান লালনপালন করার জন্য আমেরিকার চেয়ে ভারত ভাল এই কথা বললেন এই মার্কিন তরুণী। তিনি দাবি করেছেন তার তিন সন্তানকে তিনি ভারতীয় পরিবেশেই বড় করে তুলছেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তার এই বক্তব্য। নিশ্চয়ই এতক্ষণে মনে নানা রকমের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, সব কিছুরই উত্তর পাবেন আজকের এই প্রতিবেদনে।

কে এই মার্কিন তরুণী?

ক্রিস্টেন ফিশার নামের ওই তরুণী ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন নেট দুনিয়াতে। নিজে একজন মার্কিন তরুণী হওয়া সত্বেও কেন ভারতের প্রতি তার এই দৃষ্টিভঙ্গি? ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। ভিডিওটি ভাইরাল হতে কিন্তু সময় নেয়নি। সন্তানদের বড় করার জন্য ভারতকে (India) সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করেছেন তিনি।

আমেরিকার থেকে এগিয়ে ভারত (India)

ক্রিস্টেন মাত্র চার বছর আগে ভারতে এসেছেন, এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে। ভারতে তার সন্তানদের লালনপালনের সুযোগ আমেরিকার চেয়ে ভাল। যদি সন্তানদের জীবন সঠিকভাবে গড়ে তুলতে চান এবং ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে চান তাহলে আমেরিকার থেকে অনেক গুণ এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। কি লিখেছেন তিনি ভিডিওতে? ভিডিয়োয় ক্রিস্টেন লেখেন, ভারতে বসবাসের করলে তার সন্তানদের মধ্যে সংস্কৃতি, রীতিনীতি এমনকি ভাষার সঠিক বিকাশ ঘটবে। ভারতে অসংখ্য ভাষা এবং উপভাষা রয়েছে। বাচ্চারা শুধুমাত্র ইংরেজি শিক্ষক সেটা তিনি চান না, বরং পাশাপাশি হিন্দি এবং অন্যান্য উপভাষাও যাতে সহজে রপ্ত করতে পারে সেটাই তার ইচ্ছা। আমেরিকার এই তরুণীর যুক্তিকে সত্যি ফেলে দেওয়া যায় না।

View this post on Instagram

A post shared by Kristen Fischer (@kristenfischer3)

ভারতীয় সামাজিক ও পারিবারিক রীতিনীতি

যদি সামাজিক এবং পারিবারিক রীতি-নীতির প্রসঙ্গ ওঠে তাহলে আমেরিকার থেকে অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। এখানে বড় হলে তারা অন্যান্য সামাজিক ও পারিবারিক রীতি-নীতির সংস্পর্শে আসার সুযোগ পাবে। বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ফলে তাদের মধ্যে সহানুভূতি এবং সামাজিক দক্ষতা আরও বেশি প্রকাশ পাবে বলে ধারণা তাঁর। ভারত হল এমন একটি দেশ যেখানে প্রতিটি পাতায় রয়েছে বৈপরীত্য। এছাড়াও এই দেশের শিশুদেরও কৃতজ্ঞতার মূল্য, সরলতা এসবের গুরুত্ব সহজেই শেখানো যায়।

আরও পড়ুন: এ কোন বিরাট কোহলি? অনুষ্কাও নাকি পারছেন না চিনতে

কি প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সমাজ মাধ্যমে?

সমাজমাধ্যমে ভিডিওটি নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তবে অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন এই পোস্টের ভিত্তিতে। অনেক নেটাগরিকই তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করেছেন। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ভারতের বৈচিত্র্য শেখার আগ্রহ দেখে সত্যি মুগ্ধ হতে হচ্ছে। আবার অন্য এক জন ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যদি আপনার সন্তানেরা ভবিষ্যতে নিজের দেশে ফিরে যেতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কি বিরাট সাংস্কৃতিক ধাক্কা হবে?

ভারতপ্রেমী ক্রিস্টেন

ভারতের সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়ে আমেরিকার থেকে ভারতকে (India) অনেক গুণ এগিয়ে রেখেছেন তিনি। ২০২১ সালে স্বামী এবং তিন কন্যার সঙ্গে ভারতে চলে আসেন ক্রিস্টেন ফিশার। বর্তমানে অবশ্য তিনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সংস্থায় কর্মরতা। তাকে প্রায়ই দেখা যায় ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োয় তাঁর ভারতবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *