New Port: চীনকে টেক্কা দিতে ভারতের নতুন পদক্ষেপ, মালাক্কা প্রণালীর গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে বন্দর

New Port: চীনকে টেক্কা দিতে ভারতের নতুন পদক্ষেপ, মালাক্কা প্রণালীর গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে বন্দর। বেশ কিছুদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে চীন আর ভারতের দ্বন্দ্ব। প্রতিটা ক্ষেত্রে চীনকে টেক্কা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে ভারত। প্রতিনিয়ত করে চলেছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বাণিজ্যিকভাবে চীনকে পিছনে ফেলে দিতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল ভারত। মলাক্কা প্রণালীর গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে ভারতীয় বন্দর (New Port)। আর্থিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের কাছে এটি গেম চেঞ্জার হিসেবে ধরা দিতে পারে।

সম্প্রতি নতুন বাণিজ্যিক বন্দর (New Port) তৈরি করার ঘোষণা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্দরটি তৈরি করা হবে গ্রেট নিকোবর দ্বীপে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণতম বিন্দুটি হলো ইন্দিরা পয়েন্ট। তার ঠিক উপরেই রয়েছে গালাথিয়া উপসাগর। এই গালাথিয়া উপসাগরেই তৈরি হতে চলেছে নতুন বন্দর। ১৩ তম বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে এই বন্দরটি।

প্রায় ২৫ বছর আগে ১২ তম বন্দরটি তৈরি করা হয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বন্দরটির নাম কামরাজার বন্দর। এরপর ১৩ তম বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে গ্রেট নিকোবর দ্বীপে তৈরি হওয়া এই নতুন বন্দরটি (New Port)। যা ইতিহাসের পাতায় অন্যতম বিশেষ ঘটনা হিসেবে জায়গা করে নিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই বন্দর স্থাপন করা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গালাথিয়ায় তৈরি হতে চলেছে আন্তর্জাতিক কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর।

আরো পড়ুন: বিবাদের দিন কি শেষ! শেষপর্যন্ত LAC নিয়ে কি আপডেট দিলো ভারত-চীন সম্পর্ক?

বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বন্দরের অনেকগুলি ভাগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ট্রানশিপমেন্ট বন্দর। যে সমস্ত বন্দর থেকে একাধিক জায়গার পন্য তোলা বা নামানো হয় তাকে বলে ট্রানশিপমেন্ট বন্দর। কেরলে আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে একটি কন্টেইনার ট্রানশিপমেন্ট বন্দর তৈরি করা হয়েছে। ভারতের কাছে এই মুহূর্তে এই একটি মাত্র কন্টেইনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বন্দরটি (New Port) ভারতীয় বাণিজ্য বিভাগকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।

ইন্দ্র প্রসান্ত বাণিজ্য রূটে কোন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর ছিল না ভারতের কাছে। এই বন্দরের পরিষেবা পাবার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলির সহযোগিতা নিতে হতো ভারতকে। সেই জায়গা থেকে বিবেচনা করলে নতুন এই বন্দরটি (New Port) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে ভারতীয় বাণিজ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বন্দরটি সব দিক থেকেই সেরা। এই বন্দরটিকে তৈরি করার জন্য একেবারে সঠিক স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। একসাথে একাধিক দেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের পরিষেবা নেওয়া যাবে এই বন্দরটির মাধ্যমে। বন্দরের গভীরতা হবে ২০ মিটার। অর্থাৎ যে কোন বড় জাহাজ অনায়াসে প্রবেশ করতে পারবে এই বন্দরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *