Nestle: ভারতের উপর থেকে সবচেয়ে প্রিয় দেশের (MFN) তকমা তুলে নিলো সুইৎজারল্যান্ড। যার কারণে নতুন বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকেই ভারতীয় সংস্থাগুলি ওই দেশের মাটিতে যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করবেন তার ডিভিডেন্ড বা আয়ের উপর দিতে হবে ১০% বেশি কর। অর্থাৎ এতদিন যেসব ভারতীয় সংস্থা সুইৎজারল্যান্ডে ব্যবসায় বিশেষ করের সুবিধা পেতো এবার সেই সমস্ত সুবিধা তুলে নিচ্ছে ওই দেশীয় সরকার। যার বদলে এবার থেকে লভ্যাংশের উপর অতিরিক্ত ১০% কর দিতে হবে সংস্থাগুলিকে।
সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে কর সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে সুইস সংস্থা নেসলের (Nestle) একটি মামলার প্রসঙ্গ তুলে আনে। এই প্রসঙ্গে সুইস অর্থদপ্তরও মুখ খোলে বলে দাবি সূত্রের। এই বিষয়ে শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেন এই ক্ষেত্রে দুই দেশের দ্বৈত কর চুক্তি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে হতে পারে। সুইস সহ নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিখটেনস্টেইনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। তাই কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগে বিষয়টি আরোও গভীরে খতিয়ে দেখতে উপদেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জশওয়াল।
দ্বৈত চুক্তিতে নিজে থেকেই পছন্দের তকমা আসবে কি না তার জন্য মতান্তর এবং তার থেকে ভারত ও সুইৎজারল্যান্ডের সম্পর্কের অবনতি হতে দেখা গিয়েছে। গতবছর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয় নিজে থেকে এই তকমা বসতে পারে না। এর জন্য আয়কর বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: জিওর নিউ ইয়ার ওয়েলকাম প্যাক, থাকছে বিশাল সুযোগ সুবিধা
সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রের খবর সুইৎজারল্যান্ড সরকার মনে করছে দ্বৈত চুক্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ভারত কথা রাখছে না। আর সেই জন্যই ওই দেশের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এর ফলে ওই দেশে ব্যবসা করা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাসহ ওষুধ ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে চলেছে। এছাড়া সুইস সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ব্যবসায়িক নীতি বদলালে কোটি কোটি টাকার লগ্নি হাতছাড়া হতে পারে ভারতের।
কেন্দ্রের দাবি নেসলে (Nestle) সংস্থার সিধুখাদ্যে যে পরিমাণ চিনি থাকার কথা সেই সীমা লঙ্ঘন করা হয়নি। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা এই বিষয়ে আশ্বাস দেন। ফলে অভিযোগটি ভুল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান বেশি চিনি মেশানোর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত ঘুরে দেখা হয় সংস্থার সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোতে। তাতে দেখা গেছে শিশুখাদ্যে ২০২০ সালের ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী সুরক্ষা ও মান নীতির সঠিক মাত্রা মেনেই তৈরি করা হয় ওই খাদ্যদ্রব্য।