SCO conference: পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী, প্রায় ৯ বছর পর আবারও সৌজন্য বিনিময় হল দুই দেশের মধ্যে। পাকিস্তানের মাটিতে আবারো পা রাখল কোন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। ব্যবধান প্রায় ৯ বছরের। এসসিও সামিটের (SCO conference) সৌজন্যেই সৌজন্য বিনিময় হলো দুই দেশের মধ্যে। ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ হলেও তাদের মধ্যে প্রতিবেশী ভাবাপন্ন কোনো সম্পর্ক আর একটুও বজায় নেই। দুই দেশ শত্রুদেশ হিসেবেই পরিচিত সারা বিশ্বের কাছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক মুছে গেছে বহুদিন হল। প্রায় ৯ বছর পর এসসিও সামিটে যোগদান করার জন্য পাকিস্তানের ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানেই ক্ষণিকের সৌজন্য বিনিময় হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
২০১৫ সালের পর আবারও এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখল কোন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আয়োজিত এসসিও সামিটের (SCO conference) আগে একটি নৈশ্য ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই একত্রিত হয়েছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সেই নৈশ্য ভোজের অনুষ্ঠানে ২০ সেকেন্ডের জন্য সৌজন্য বিনিময় হল দুই দেশের মধ্যে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উভয়কেই একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা যায় সেদিন। কিন্তু বিষয়টা যে এই অব্দিই সীমাবদ্ধ থাকবে, উভয় পক্ষের মধ্যে কোন প্রকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হবে না তা স্পষ্ট জানিয়েছে নতুন দিল্লি।
এসসিও অর্থাৎ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেসনের সদস্যদের তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক দেশের। ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজাকিস্তান, রাশিয়া, চীন আরো বেশ কিছু দেশের নাম। এসসিওর পক্ষ থেকে প্রতিবছর আলাদা আলাদা দেশে এই সামিটের আয়োজন করা হয়। এই বছর এসসিওর ২৩ তম সম্মেলনটির (SCO conference) আয়োজন করা হয়েছিল পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। মঙ্গল এবং বুধবার আয়োজিত হয়েছে এই সম্মেলন। এখানে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেকটি সদস্য দেশের প্রধানরা।
আরো পড়ুন: পোখরানে সফল পরীক্ষা ভারতের নয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের, আতঙ্কে চিন-পাকিস্তান
নিয়ম মেনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রত্যেকটি দেশের সরকার প্রধানের কাছেই নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। নিমন্ত্রণপত্র এসেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। কিন্তু তিনি এই সম্মেলনে (SCO conference) যোগদান করবেন কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন ছিল সমগ্র দেশবাসীর মনে। অনেক আলোচনার পর বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য পাকিস্তান যাওয়া হবে ঠিকই, তবে যাবেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। এর আগে ২০১৫ সালে সুষমা স্বরাজ বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। ৯ বছর পর আবারো পাকিস্তান যাচ্ছেন বর্তমান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মাঝে আর কেউ পাকিস্তানে যায়নি।
দিল্লির তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে দুই দেশের মধ্যে কোন প্রকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। কারণ শত্রুতা আর আলোচনা একসাথে চালানো যায় না। গত বছর এসসিওর ২২ তম সম্মেলন (SCO conference) আয়োজন করা হয়েছিল গোয়ায়। সেখানেও কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যোগদান করেননি। তার বদলে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তাকেও ভারতের তরফ থেকে প্রয়োজন অতিরিক্ত কোন সৌজন্য দেখানো হয়নি। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো এই বছরও। পাকিস্তান গেলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এবং তাকেও প্রয়োজনীয় সম্মানটুকুই জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তরফ থেকে।