Income Tax Return: ভারতে বসবাসকারী মানুষদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয়ের উপর সরকারকে ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর দিতে হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই ট্যাক্স জমা করতে হয় ভারতের আয়কর বিভাগে। চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বরেই ফুরিয়ে যাচ্ছে সেই সময়সীমা। এই দিনের মধ্যেই জমা করার কথা ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন। দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর করদাতাদের জন্য কর জমা দেওয়ার নথি জমা দেওয়ার জন্য আলাদা সময়সীমা দেওয়া হয় সরকারের আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে। সেই সময় বাড়িয়ে শেষ সুযোগ দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এরপর আর সময়সীমা বাড়ানো হবেনা বলেও সাফ জানিয়েছে আয়কর দপ্তর।
করদাতাদের একাংশ সময়ের কথা মাথায় রেখে সঠিক সময়ে তাদের বরাদ্দ আয়কর জমা করে দেন। আবার একাংশ সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা করেননা। তাদের জন্যই বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা করার জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার কখনও কখনও আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে ভুল ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রেও ভুল শুধরে নিতে দেওয়া হয় অতিরিক্ত সময়। এই ধরনের আয়কর রিটার্নকে সংশোধিত রিটার্ন বলা হয়।
প্রতি বছর দেশের বেতনভোগী এবং প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হিসেবে ৩১শে জুলাইকে ধরা হয়। এর মধ্যে টাকা আয়কর রিটার্ন জমা না করলে ভারতের আয়কর আইন ১৩৯(৪) অনুযায়ী জরিমানা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে অর্থ বকেয়া থাকলে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য্য করা হতে পারে। অন্যথায় এই জরিমানার তারতম্য হয়।
আরো পড়ুন: সোনাতেই শক্ত দেশের অর্থনীতি, কোন দেশের কাছে কত সোনা
আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়া ব্যক্তির এক বছরের আয় যদি করযোগ্য হয় এবং নির্দিষ্ট মার্জিনের নিচে হলে এক হাজার টাকার জরিমানা নেওয়া হয়। এবং যদি কারো এই বার্ষিক তিন লক্ষ টাকার কম হয় তবে দেরিতে আয়কর রিটার্ন জমা করলেও কোনো রকম জরিমানা দিতে হয়না।
আবার ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে যেসব ব্যক্তিরা আয়কর জমা করেননি তাদের জন্য এই বিলম্বিত আয়কর জমা দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হবেনা। অর্থাৎ শুধু মাত্র চলতি বছরের আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে এই শেষ সুযোগ। তাঁর আগের অর্থ বর্ষের কর হলে তাকে নতুন নিয়মেই আয়কর রিটার্ন এবং বকেয়া জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কর ছাড়ের নিয়মে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবেনা ওই করদাতাকে।