Indian Railways: ভারতীয় রেলের পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে বেশ নাম রয়েছে। এর আগে একাধিক সুবিধাও দেওয়া হতো রেলের তরফে। যার মধ্যে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ট্রেন ভাড়ায় দেওয়া বিশেষ ছাড়ে উপকৃত হতেন অনেকেই। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই বিশেষ ছাড় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারতীয় রেল। এই বিশেষ ছাড়ে সাধারণ প্রবীণ নাগরিকরা ৫০ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রবীণ নাগরিকরা ৪০ শতাংশ ছাড় পেতেন টিকিট মূল্যের উপর।
রেল সূত্র অনুযায়ী ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষরা এবং ৫৮ বছরের বা আরও বেশি বয়সী মহিলাদের ভারতীয় রেলওয়েতে (Indian Railways) সিনিয়র সিটিজেন ধরা হয়। ফলে বয়সের এই শর্ত মেনেই কিছু বছর আগে পর্যন্তও দেশের কিছু প্রাইম দূরপাল্লার ট্রেনেও দেওয়া হতো ভাড়ার বিশেষ ছাড়। এর মধ্যে পড়ত দুরন্ত এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, জন শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং রাজধানী এক্সপ্রেস সহ আরো কিছু দ্রুতগতির মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন।
কিন্তু ২০২০ সাল থেকে প্রবীণ নাগরিকদের এই বিশেষ ছাড় দেওয়ার নিয়ম বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে সকলকেই পুরো ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে ভারতীয় রেলে (Indian Railways)। তবে এই নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ভারতীয় রেল ৫,০৬২ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে। যার মধ্যে ২,২৪২ কোটি টাকাই এসেছে সিনিয়র সিটিজেনদের ভাড়ায় ছাড় না দেওয়ার ফলে। জানা যাচ্ছে ছাড় বন্ধের পর থেকে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ পুরুষ, ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মহিলা এবং ১৮,০০০ তৃতীয় লিঙ্গের বয়স্ক মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন।
আরো পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কাটলেই বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন এই পরিষেবাগুলি
এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান যে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এই বিশেষ ছাড় পুনরায় যাতে চালু করা হয় এই নিয়ে একাধিক দাবি উঠছে। তবে তিনি এও জানান এই ছাড় পুনরায় চালু করলে সরকারের উপর আর্থিক বোঝা বাড়াবে। ২০১৯-২০ সালে ভারতীয় রেলওয়ের (Indian Railways) তরফে যাত্রীদের টিকিটে ৫৯,৮৩৭ কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল যা প্রতি যাত্রী পিছু হিসেব করলে দেখা যায় প্রত্যেকেই টিকিটের উপর গড়ে ৫৩ শতাংশ ছাড় পেয়েছেন।
তবে বর্তমানে এখনও কিছু ভর্তুকি যুক্ত ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফে। যার মধ্যে প্রতিবন্ধী, অসুস্থ রোগী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা। তবে সিনিয়র সিটিজেনদের ছাড়ের বিষয়ে কি করা হবে এই সিদ্ধান্ত এখন সরকারের হাতে রয়েছে।