Jagdeep Singh: পুঁথিগত পড়াশোনা শেষ করার পর প্রত্যেকেই চেষ্টা করেন চাকরি পাওয়ার কারণ অর্থ উপার্জন এবং চাকরি পাওয়াকেই জীবনের শেষ লক্ষ্য হিসেবে মনে করেন সিংহভাগ মানুষ। কিছু মানুষ ব্যবসা করেন, কিছু মানুষের স্বপ্ন থাকে সরকারি চাকরি করার, কেউ আবার মোটা বেতনের বেসরকারি চাকরি করেন। কেউ আবার ব্লগ চ্যানেল খুলে বসেন। তবে জগদীপ সিংহ কিন্তু চাকরি করেই মোটা বেতন পান।
জগদীপ সিংহের (Jagdeep Singh) মত মোটা বেতনের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু অনেক বড় অঙ্কের বেতন বা মোটা অঙ্কের বেতন বলতে ঠিক কত টাকা বোঝানো হয় তার ধারণা অনেকের কাছেই থাকে না। জগদীপ সিংহ এমন একজন মানুষ, যিনি বার্ষিক ইনকাম করেন ১৭৫০০ কোটি। অর্থাৎ তার দৈনিক বেতন ৪৮ কোটি। সর্বাধিক বেতন পাওয়া এই ব্যক্তিটির আবার যোগ রয়েছে ভারতের সঙ্গে।
‘কোয়ান্টামস্কেপ’ এর প্রাক্তন সিইও জগদীপ সিংহের (Jagdeep Singh) মাসিক বেতন তাই ঈর্ষণীয়। বিশ্বের তাবড় সংস্থার সিইও দের কাছে এই বেতন রীতিমতো স্বপ্ন। স্বপ্ন হওয়ারই কথা। কারণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া কমই হলেন জগদীপ সিংহ। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আমেরিকার সংস্থা ‘কোয়ান্টামস্কেপ’এর প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ সিংহ (Jagdeep Singh) ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন উদ্যোক্তা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনের কর্মী হওয়ার সাথে সাথে তিনি এই বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি বেতন পাওয়া সিইও। অনেকেই জানেন না ভারতবর্ষের সাথে তার একটি যোগ আছে কারণ এই জগদীপ আসলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২৪ ঘন্টায় তার রোজগারের পরিমাণ ৪৮ কোটি।
আরো পড়ুন: চাকরির আবেদনে অনলাইনে সিভি পাঠাবেন, জানুন সঠিক সময় কোনটি
জগদীপের (Jagdeep Singh) চিত্তাকর্ষক বেতনের মধ্যে আনুমানিক ২৩০ কোটি ডলারের স্টক বিকল্প রয়েছে। ২০১০ সালে তিনি টিম হোম ও ফ্রিৎজ প্রিনজের সঙ্গে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করেন ‘কোয়ান্টামস্কেপ। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করার পর এই সংস্থার সিইও হিসেবে কাজ করে গেছেন এবং নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন দীর্ঘ সময় কিন্তু অবশেষে ২০২৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি তিনি এই পদ থেকে অব্যাহতি চান। এরপর এই পদে আসেন শিবা শিবরাম।
২০১০ এ প্রতিষ্ঠিত জগদীপের (Jagdeep Singh) এই সংস্থা বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরি করে সংস্থার লক্ষ্য হচ্ছিল দ্রুত চার্জ হয় এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ ব্যাটারি তৈরি করা এই নিয়েই সর্বক্ষণ গবেষণা চালাতে থাকে সেই সংস্থা। ‘কোয়ান্টামস্কেপের দাবি শক্তি শিল্পে বিপ্লব ঘটানো। কার্বন মুক্ত ভবিষ্যৎ তৈরি করার অঙ্গীকার তাদের। ‘কোয়ান্টামস্কেপ আসলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য চার্জ দেওয়া হয়, এইরকম সলিড স্টেট লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরি করে। এই ব্যাটারিগুলি সাধারণ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিগুলির তুলনায় অনেক বেশি টেকসই ও সুবিধা দিয়ে থাকে।