Jyoti Basu Research Centre: লাল ঝান্ডার বদলে জ্যোতি বসু গবেষণাকেন্দ্রে উড়ল দেশের জাতীয় পতাকা, সামনে এলো কারণ

Jyoti Basu Research Centre: রাজ্যের অন্যতম সম্মানীয় নেতাদের অন্যতম হলেন জ্যোতি বসু। তাঁর মৃত্যুর পর লাল দলীয় পতাকা মুড়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল তাঁকে। এর উপরে দেশের পতাকা বিছিয়েও জানানো হয়েছিল শেষ সম্মান। শুক্রবার তাঁর ১৫তম প্রয়াণ দিবসে কলকাতার বুকে উদ্বোধন হলো তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্র। সেখানে দলীয় পতাকা নয় বরং উড়লো জাতীয় পতাকা। সিপিএমের চেষ্টা ছাড়াও ২০১০ সালে এর জন্য গঠন হয়েছিল আলাদা ট্রাস্ট। সেখানেই গত বছর ১৭ই জানুয়ারি দিনটিতে জ্যোতি বসু গবেষণাকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সীতারাম ইয়েচুরি।

শুক্রবার প্রথম ভাগে তৈরি হওয়া ভবনের উদ্বোধন করেন প্রকাশ কারাট। কিন্তু লাল ঝান্ডার পরিবর্তে দেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহারের কারণ কি? এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান জ্যোতি বসু গবেষণাকেন্দ্র (Jyoti Basu Research Centre) এশিয়ার একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে। উপমহাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই জাতীয় পতাকা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জ্যোতি বসুর নামানুসারে তৈরি হওয়া এই গবেষণাকেন্দ্রের (Jyoti Basu Research Centre) জন্য সিপিএমের নেতা বিমান বসুকে নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এদিন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য ছাড়া আর কোনো বিরোধ নেতাকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এদিন নিউটাউনের এই কর্মসূচিতে পূর্ব ঘোষণা মতোই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী নাগরিক, বিশ্বভারতীর কৃতি প্রক্তনীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: নতুন বছরে চমক, বাংলায় চলবে বুলেট ট্রেন সামনে এলো বড়ো আপডেট

জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বামফ্রন্ট সরকার। প্রথম কিছু বছর মহাকরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার জন্য বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এরপর তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে পতাকা উত্তোলন শুরু করেন। এরপর তাঁর মৃত্যুর পর সিপিএমের সিদ্ধান্ত হয় যে দলীয় ভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। সেখানেও চলেছিল সমালোচনা। সিপিএমের ক্ষমতা হওয়ার আগে নির্ধারণ হয়েছিল নিউটাউনের নাম হবে জ্যোতি বসু নগর। তবে তার সরকারি প্রক্রিয়াকরণ হয়নি। অবশেষে শুক্রবার তাঁর নামে তৈরি জ্যোতি বসু গবেষণাকেন্দ্র (Jyoti Basu Research Centre) আবারও নিউটাউনের নাম বদলের দাবি উঠলে সেখানেও বিতর্কের ঝড় ওঠে।

জ্যোতি বসু গবেষণাকেন্দ্র (Jyoti Basu Research Centre) এখনও নির্মীয়মান। তিনতলা নির্মিত হলেও আরও চার তলা নির্মাণ বাঁকি রয়েছে। সেখানেই জ্যোতি বসুর মূর্তি এবং তাঁর ব্যবহারের সেগুন কাঠের খাট রাখা রয়েছে। এবার শুধু এশিয়া মহাদেশে এই বিজ্ঞানকেন্দ্র কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারে তার দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *