Kanchenjunga: ঝকঝকে আবহাওয়া, শিলিগুড়ি থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতকাল পড়ে গেছে। বেশ জাঁকিয়েই পড়ছে শীত। আর কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে একাধিক উৎসবের মরসুম। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে। এই সময়টাই সবথেকে বেশি পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে। যারা পাহাড় ভালোবাসেন তারা শীতকালেও পাহাড়ে যাওয়াটাই বেশি পছন্দ করেন। আর পাহাড় প্রেমী পর্যটকদের কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা অন্যরকম আবেগ।
শুধুমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjunga) রূপ এক ঝলক দেখার জন্য বারবার দার্জিলিং ছুটে যান বহু পাহাড় প্রেমী পর্যটকরা। প্রতিবারের ন্যায় এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। তালিকায় রয়েছে দার্জিলিং এর নামও। কিন্তু পর্যটকদের জন্য রয়েছে সুখবর এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া এতটাই মনোরম যে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দর্শনের জন্য আর দার্জিলিং যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। শিলিগুড়ি থেকেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্গা। সারা বছরই বরফাবৃত থাকে এই চুড়াটি। তবে এই চূড়ার দর্শন পাওয়া কিন্তু বেশ সৌভাগ্যের ব্যাপার। চাইলেই এই চূড়ার দর্শন পাওয়া যায় না। কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দর্শনের জন্য শুধুমাত্র বাঙালিরা নয়, দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমান দার্জিলিংয়ে। তবে প্রতিবছরই এই সময়টা অর্থাৎ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে শিলিগুড়ি থেকেই দেখা যায় সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ। তার জন্য দার্জিলিং অব্দি যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এই বছরও তেমনটাই ঘটেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিলিগুড়ির একাধিক জায়গা থেকেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchenjunga)।
আরো পড়ুন: উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে গাড়ি ভাড়া আকাশ ছোঁয়া, এলো বড় খবর
উত্তরবঙ্গে প্রবেশদ্বার বলা হয় এনজিপি রেলওয়ে স্টেশনটিকে। নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে শিলিগুড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলেই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ফ্লাইওভার থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjunga)। সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘাকে এত কাছ থেকে দেখে খুশি শহরবাসী এবং সেখানে উপস্থিত পর্যটকরা। ফ্লাইওভারে দাঁড়িয়ে উত্তরের আকাশে তাকালে ভেসে উঠছে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া, এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করার জন্য ফ্লাই ওভারের উপর ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয় প্রতিবছরই এই সময়টায় দেখা যায় এই দৃশ্য। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন শিলিগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখা যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল। প্রায় সারা বছরই দিনের বেলায় দেখা মিলতো কাঞ্চনজঙ্ঘার। কিন্তু বর্তমানে এই শহরের জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বেড়েছে যানবাহনের পরিমাণ। পাশাপাশি বেড়েছে দূষণের মাত্রা। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে এখন শুধুমাত্র বছরের বিশেষ কিছু সময় দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjunga)। শেষ কয়েক বছরের তুলনায় ২০২৪ এ কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন আরো কিছুটা দেরিতে দেখা দিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘাল রূপ দর্শনে খুশি সকলে।