Aadhar Card Making Process: বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন আধার কার্ড, রইল পদ্ধতি

Aadhar Card Making Process: ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয় পত্র মধ্যে অন্যতম প্রধান পরিচয় পত্র হলো আধার কার্ড। যেটা ছাড়া যে কোনো অফিসিয়াল কাজই অসম্পূর্ণ। স্কুল-কলেজে ভর্তি, হসপিটালে অ্যাডমিট করানো কিংবা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে গেলেও দরকার হয় এই আধার কার্ডের। তাই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সকলেরই এই কার্ড তৈরি করা আবশ্যক। কিন্তু সহজে এই আধার কার্ড (Aadhar Card Making Process) কিভাবে করা যায় তার প্রক্রিয়া অনেকেই খুঁজে চলেছেন। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে কিভাবে বাড়িতে বসে সহজেই নিজের পরিচয় পত্র বানানো যাবে। তাই সময় নষ্ট না করে জেনে নিন আধার কার্ড তৈরির পদ্ধতিগুলি।

মূলত আধার তালিকাভুক্ত হওয়ার পদ্ধতিগুলি খুবই সহজ। আধার তালিকাভুক্ত হতে গেলে প্রয়োজন হয় কিছু প্রাথমিক নথিপত্র এবং বায়োমেট্রিক ডেটা। সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে আধার তালিকাভুক্ত হওয়া যায় একটি হল ডকুমেন্ট ভিত্তিক আধার তালিকাভুক্ত প্রক্রিয়া (Aadhar Card Making Process)। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আধার তৈরি করতে গেলে দরকার হয় ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিল, প্যান কার্ড, জলের বিল, জন্মের তারিখ প্রমাণ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় নথিপত্র।

কিন্তু ব্যক্তির উপরে উক্ত যদি কোনো ডকুমেন্ট না থাকে তাহলেও তারা আধার তালিকাভুক্ত হতে পারে। এর জন্য পরিবার প্রধান পদ্ধতির মাধ্যমে আধারের আবেদন করতে পারে সেই ব্যক্তি। কিভাবে? এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবারের প্রথম ব্যক্তিকে প্রথমে নিজের নথিপত্র এবং ঠিকানা পরিচয় পত্রের মাধ্যমে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের সহজেই আধার তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারলেও চিন্তার কারণ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বহু জায়গায় একাধিক আধার তালিকাভুক্ত কেন্দ্র স্থাপন করেছে সরকার। মূলত সরকারি অফিস, ডাকঘর ইত্যাদি জায়গাগুলিতে এই কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইউআইডিএআই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাছের যেকোনো একটি সেন্টারে গিয়েও ব্যক্তি নিজের পরিচয় পত্র বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

আরো পড়ুন: কলকাতায় অবতরণ দৈত্যাকার ‘আকাশ তিমি’র! উপচে পড়া ভিড় বিমানবন্দরে

তবে এর জন্য ব্যক্তিকে কাছের যেকোনো একটি আধার তালিকাভুক্ত কেন্দ্রে গিয়ে নিজের নাম, ঠিকানা, পরিচয় দিয়ে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তারপর আঙুলের ছাপ, আইরিশ স্ক্যান প্রভৃতি বায়োমেট্রিক ডেটা যাচাই করে ব্যক্তির POI ও POA প্রমাণের সমস্ত নথিগুলি যাচাই করা হবে (Aadhar Card Making Process)। যাচাইকরণ সম্পন্ন হলে ব্যক্তিকে আবার পুরো বিষয়টি ভালোভাবে দেখে ত্রুটিহীন আছে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। তারপর আবেদন পত্র জমা করা হবে।

আবেদন পত্র সরকার দ্বারা গৃহীত হলে ব্যক্তিকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। যে স্লিপটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই স্লিপটির মধ্যে রয়েছে একটি তালিকাভুক্ত পরিচয় আইডি। যেটার মাধ্যমে ব্যক্তি তার আধার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এইভাবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে বেশ কিছুদিন পর ব্যক্তির বাড়িতেই চলে আসবে অন্যতম প্রধান পরিচয় পত্র আধার কার্ড। তবে একান্তই যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারেন তাহলে নিকটতম পৌরসভা বা স্থানীয় অঞ্চলে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *