Business of Donald Trump: আবারো বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী মসনদে ট্রাম্প, তবে তার ব্যবসার বহরও কম নয়

Business of Donald Trump: অবশেষে ভোটযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ৭৮ বছর বয়সে আমেরিকার ৪৭ তম রাষ্ট্রপতির পদে অবতীর্ণ হলেন আবারো ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ নিউইয়র্কের বাসিন্দারা ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধুমাত্র একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ নন, এর পাশাপাশি আরো অনেক প্রতিভা রয়েছে। যেমন তিনি একজন লেখক, একজন রিয়েল এস্টেট এর ব্যবসায়ী (Business of Donald Trump)। এছাড়া একজন সফল বিনিয়োগকারী। রিয়েল এস্টেটে কেরিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে রাজনীতির জগতে পা রাখেন তিনি।

কলেজে স্নাতক হওয়ার পর, ট্রাম্প তার বাবার সাথে কাজ করা শুরু করেন এবং অবশেষে পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানিগুলির একটি অংশের সভাপতি হন যা পরে তিনি ট্রাম্প সংস্থায় পরিণত করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশক জুড়ে, ট্রাম্প তার বাবার ব্যবসাকেই সফলভাবে প্রসারিত করার চেষ্টা করেছিলেন। পাশাপাশি ম্যানহাটনের হোটেলগুলিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে, ট্রাম্প ৫৬তম স্ট্রিট এবং ৫ম অ্যাভিনিউতে ট্রাম্প টাওয়ার খোলেন, যেখানে পরে তার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। সেই একই দশকে, ট্রাম্প ক্যাসিনোতে বিনিয়োগ শুরু করেন এবং ফ্লোরিডার পাম বিচে তার রিসর্ট মার-এ-লাগো কিনে নেন।

ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট-এর ব্যবসা

১৯৯০ এর মন্দা ট্রাম্পের ব্যবসার (Business of Donald Trump) ক্ষতি করেছিল এবং তিনি তার কিছু কিছু সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হন। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে তার ভাগ্য অনেকাংশে পরিবর্তিত হয়, যদিও তার ক্যাসিনোগুলি তখন সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। ট্রাম্প তার দীর্ঘ ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার জুড়ে তার নাম থেকে লাভবান হয়েছেন, ব্র্যান্ডেড কোলোন এবং স্টেকস থেকে শুরু করে একটি অনলাইন শিক্ষা কোম্পানিতে সবকিছু বিক্রি করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তার বাবার কাছ থেকে ৪১৩ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পান।

তার ব্যবসা (Business of Donald Trump) শুধুমাত্র আমেরিকাতে নয়, ভারতের বিভিন্ন কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে। ভারতে তার জনপ্রিয়তা মূলত রিয়েল এস্টেট এর ব্যবসা থেকে। ২০১৩ সালে প্রথম ট্রাম্প অর্গানাইজেশন এর মাধ্যমে ভারতে শিকড় গাথার চেষ্টা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরে আস্তে আস্তে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তার ব্যবসা প্রসারিত হতে থাকে। পঞ্চশীল রিয়েলটি, আইরিও, ট্রিবেকা, লোধা গ্রুপ, ইউনিমার্ক, এম3এম ইত্যাদির মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন।

আরো পড়ুন: ইউরোপের বাজারে শোধিত তেল বিক্রিতে সৌদিকে ছাপিয়ে এক নম্বরে দিল্লি

ট্রাম্পের টাওয়ার

মিডটাউন ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে একটি ৫৮-তলা গগনচুম্বী টাওয়ার আছে, যা নিউ ইয়র্ক সিটির স্কাইলাইনের সবচেয়ে বিশিষ্ট ফিক্সচারগুলির মধ্যে একটি। ট্রাম্প টাওয়ারের গোড়ায় একটি গোলাপী মার্বেল প্রাচীরের উপরে একটি বড় জলপ্রপাত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চতর রিটেইল স্পেস এবং একটি পাবলিকের বসার জায়গা। ৬৬৩-ফুট লম্বা অফিস স্পেস, সেন্ট্রাল পার্ক এবং ম্যানহাটনের স্কাইলাইনের প্যানোরামিক ভিউ সহ আবাসিক ইউনিট রয়েছে।

ট্রাম্পের একটি টাওয়ার আছে ভারতের মুম্বাইতে। লোধা গ্রুপের সাহায্যে মুম্বাইয়ের ওয়ারলিতে ৭০০ একর জমি জুড়ে রয়েছে ‘ট্রাম্প টাওয়ার’, যা বাজার মুল্য কয়েক হাজার কোটি টাকার সমতূল্য। এই টাওয়ারে ৭৮ তলা রয়েছে যা অতুলনীয় ডিজাইনে সজ্জিত।

পুনেতেও ট্রাম্পের ২৩ তলা টাওয়ার আছে, যার নাম ‘ট্রাম্প টাওয়ারস’। এই টাওয়ার যে ফ্ল্যাটগুলি আছে তার দাম ১৫ কোটি বা তারও বেশি। দিল্লির গুরুগ্রামে ৫০ তলার ট্রাম্পের ‘Tribeca Trump Towers’ এখানে অবস্থিত, যেখানে ট্রাম্পের বিনিয়োগ রয়েছে। কলকাতায়ও ট্রাম্প তার ব্যবসা বিস্তার করেছেন। কলকাতাতে রয়েছে ট্রাম্প টাওয়ার, যেখানে একটি ফ্ল্যাট পাওয়া যায় ৩.৭৫ কোটি টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *