APJ Abdul Kalam: প্রত্যেক বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে তাঁর সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। নিজের সন্তানকে সৎ, নম্র, ভদ্র, চরিত্রবান হিসেবে বড় হতে দেখতে ভালবাসেন না এমনটা বোধ হয় কেউ নেই। কিন্তু অনেক সময় চেয়েও বাচ্চাকে সঠিক ভাবে মানুষ করা যায় না। আজকালকার দিনে অনেক ছোট থেকেই স্কুল-পড়ার চাপ দিতে দিতে তাদের শৈশব নষ্ট হয়ে যায়।
সন্তানের উপর নিজের ইচ্ছে পূরণের ভার চাপিয়ে তাকে তার প্রাণোচ্ছল শৈশব থেকে দূরে করে ফেলছেন অনেকেই। যদিও এর সাথে মা বাবাদের দৌড়ও কম নয়। বাবা মায়ের একাধিক ত্যাগ এবং নিষ্ঠা পেরিয়েও অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চার রাগ-জেদ এত বেড়ে যায় যে চাইলেও আর তাকে সাভাবিক শিশুজীবনে ফেরানো এক প্রকার অসাধ্য হয়ে পড়ে।
প্রতিনিয়ত মা বাবারাও সন্তানের উপর কিছু অন্যায় করে ফেলে সেই সব অন্যায় শুধরে না নিতে নিতেই সন্তানের চরিত্র গত গঠনের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে। এমনটাই মনে করতেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সম্মানীয় এ.পি.জে আব্দুল কালাম (APJ Abdul Kalam) ওরফে আবুল পাকির জয়নুলাবেদিন আব্দুল কালাম মহাশয়। সন্তানের ৫ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত চারিত্রিক এবং মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে এর কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেগুলো হলো:
আরো পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতে হতে চলেছে ৪৮ লক্ষ বিয়ে, খরচ ৬ লক্ষ কোটি টাকা
১. সুস্থ পরিবেশ: শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবার এবং পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস ও বুদ্ধি বাড়ে।
২. সংবেদনশীলতা: শিশুর চারিত্রিক গঠনের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা গুনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনে চলার পথে অন্যের দুঃসময়ে পাশে থাকা এবং বিপদে সাহায্য করাই জীবের পরম ধর্ম।
৩. সংযত ক্ষমতা: শিশুর সামনে উচু গলায় কথা বলতে নেই। পারিবারিক সমস্যা বা অশান্তিগুলো শিশুর নজরের বাইরে সমাধান করা ভালো। এতে তাঁদের চরিত্রে সংযত মনোভাব তৈরি হয়।
৪. সত্য: আব্দুল কালাম স্যারের (APJ Abdul Kalam) মতে ছোট থেকেই শিশুদের সত্যি কথা বলা, সৎ পথে চলার মতো বিষয়গুলির সাথে পরিচয় করাতে হবে। এতে শিশুরা সঠিক পথ চিনতে পারে।
৫. আত্মবিশ্বাস: শিশুকে ছোট থেকেই ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে বড় করলে তাদের আত্মবিশ্বাস মজবুত হয়।
৬. মূল্যবোধ: শিশুদের চরিত্রে মূল্যবোধ একটি বড় গুণ। তাই শিশুদের সৎ পথে চলার, বড়দের সম্মান করার বোধ প্রদান করার উপদেশ দিয়েছেন কালাম (APJ Abdul Kalam) স্যার।