Kolkata High Court: সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া রাজ্যের কিছু ঘটনায় বারংবার দেখা গিয়েছে ক্ষিপ্ত মানুষ প্রায়শই সরকারি সম্পত্তি হানির পথ বেছে নেয়। এবার এই বিষয়েই কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেকোনো অবস্থায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা আইন বিরুদ্ধ কাজ। কিন্তু উত্তেজনার বসে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা আজকাল আকছার দেখা যায়। এবার এই কাজের কার্যত হুঁশিয়ারি দিলো কলকাতা হাইকোর্ট।
কোনরকম রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বা বিরোধিতা করার জন্য সরকারি সম্পত্তির হানি হলে বা ভাঙচুর হলে আক্রমণকারীদের রাজনৈতিক দল বা সংশ্লিষ্ট দলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সোমবার একটি আইনি মামলার শুনানিতে এমনটাই রায় দিলো কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court)। এদিন সরকারি সম্পত্তি তছনছ করার পরেও কেনো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে এতদিন কেনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এই প্রশ্নও ছুঁড়ে দেয় হাইকোর্ট।
জানা যাচ্ছে মালদহের পুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে ঢুকে ভাংচুরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিন এই ঘটনার বিচারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজনৈতিক কোনো বিবাদে সরকারি অফিস কেনো ভাঙচুর করা হবে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়াও এই ধরনের ভাঙচুর হলে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগের সংশ্লিষ্ট আইনি ধারা প্রয়োগ করে অপরাধীদের কেনো শাস্তি দেওয়া হয়নি বলেও জবাব চান বিচারপতি।
আরো পড়ুন: মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ, পর্যটন ব্যবসায় অন্ধকারের ছায়া
সূত্রের খবর পুকুরিয়া গ্রামের পঞ্চায়েতের বহির্ভূত এক রাজনৈতিক সমস্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর একদল দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত অফিসে এসে ভাঙচুর চালায় পঞ্চায়েতের অফিসে। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন বিচারের সময় কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন রাজনৈতিক কারণে কেনো সরকারি অফিস ভাঙচুর হবে কেনো সেটাই পরিষ্কার নয়! এছাড়াও পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে আদেশ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানাকে।
এই বিষয়ে এরপর একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) সূত্রের খবর নতুন বছরের ১৭ই জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে রাজনৈতিক সমস্যার জেরে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট আর বরদাস্ত করবেনা কলকাতা হাইকোর্ট।