পশ্চিমবঙ্গের সরকারে ঘাসফুল আসার পর থেকেই চালু হয়েছে নানান স্কিম। মূলত রাজ্যের গরিব নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পড়ুয়া সকল মানুষের সুবিধার্থেই নানান প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে বিশেষ নামকরা একটি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। এবার সেই প্রকল্প নিয়েই এক বিরাট ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। যা না মানলে এই তালিকা থেকে বাদ পড়বে বহু মহিলার নাম। কি ঘোষণা করল রাজ্যের মাননীয়া? কি শর্তই বা মানতে হবে?
দেশবাসীর সুবিধার্থে রাজ্য-কেন্দ্র উভয় সরকার তরফেই নানান প্রকল্প চালু করা হয়েছে। গরিব নিম্নবিত্ত পড়ুয়াদের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য চালু করা হয়েছে নানান স্কিম। বাড়ির মহিলারা যাতে বাড়িতে বসে ছোটখাটো কিছু ব্যবসা বা হাত খরচ চালানোর মতো কিছু করতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকার তরফে চালু করা হয়ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিমাসে রাজ্যের সাধারণ মহিলারা পান ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলারা পান ১২০০ টাকা।
মূলত রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। তবে এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই শর্ত না মানলে লক্ষ্মীর ভান্ডার স্কিম থেকে বঞ্চিত হবেন মহিলারা। আর ঢুকবে না অ্যাকাউন্টে টাকা। কি সেই শর্ত?
আরও পড়ুন: ১০০ টাকার নোট নিয়ে কী কড়া নির্দেশিকা জারি করল RBI?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে যে শর্তগুলো মানতে হবে তা হল প্রথমত, উপভোক্তার ব্যাঙ্কের সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে না। দ্বিতীয়তঃ, এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত মহিলাদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সাথে আধার লিংক করানো থাকতে হবে। তা না হলে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবে না। তৃতীয়ত, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি দেওয়া থাকতে হবে। তা না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে লক্ষ্মীর ভান্ডার। চতুর্থত, কোনো সরকারী চাকরিজীবী মহিলারা এই স্কিমের সুবিধা পাবেন না। সেক্ষেত্রে কেউ যদি নিয়ে থাকেন তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ফলস্বরূপ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই সঠিক বিবরণ এবং নথিপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মূলত তথ্য যাচাই করনের সময় দরকারি সঠিক আপডেট নথিপত্র দেওয়া জরুরী বলে জানিয়েছে রাজ্যের মাননীয়া। উল্লেখ্য বিষয় ২১এর নির্বাচনের পর ভাতার অঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ছিল রাজ্য সরকার। সেই হিসেবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে অর্থাৎ চলতি বছরে আবারো সেই অঙ্কের পরিমাণ বৃদ্ধির আশা করছে উপভোক্তারা।