Lakshmir Bhandar: পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের উন্নতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেসব প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন তার মধ্যে সব থেকে বেশি সফলতা পেয়েছে মেয়েদের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ মহিলাদের জন্য আনা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। একাধিক মাইলস্টোন পার করে বাহবা কুড়িয়েছে এই প্রকল্পগুলি। যার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে রাজ্যের সমস্ত শ্রেণীর মহিলারা মাসিক অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকেন। এতে করে সমাজের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলারা আর্থিক ভাবে অনেকটা সহযোগিতা পাচ্ছেন।
এক্ষেত্রেও ST বা SC মহিলাদের ক্ষেত্রে টাকার অংকের পরিমাণ অন্যদের থেকে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে মহিলাদের নিজস্ব খরচের উপায়ের পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের মতো করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে পারে। এরই মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিলো সরকার। আটকে দেওয়া হতে পারে লক্ষ্মী ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা। এই কাজগুলি না করলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষী ভান্ডারের টাকা। জেনে নিন কি সেই কাজ!
নবান্নের তরফে কড়া ভাবে জানানো হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে হলে মানতে হবে এইসব নিয়ম।
১. রাজ্য জানাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের অবিচ্ছেদ্য সুবিধা পেতে হলে সমস্ত মহিলাদের ব্যাংক একাউন্ট অবশ্যই তাদের আঁধার কার্ডের সাথে লিংক করা থাকতে হবে। যেসব মহিলাদের ব্যাঙ্কের সাথে আঁধার লিংক করা থাকবেনা তাদের একাউন্টে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দেওয়া হবেনা।
আরো পড়ুন: জারি হল রেশন কার্ড সংক্রান্ত সতর্কতা, বেনিয়মে হতে পারে জেলও
২. আঁধার কার্ড এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কপি জমা না থাকলে সেইসব মহিলারাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে কোনো সুবিধা পাবেননা।
৩. এছাড়াও গুরুত্বপুর্ণ আরেকটি নথি হলো ব্যাংকের পাশ বইয়ের প্রথম পাতার তথ্য জমা করা। এবং সময় সময়ে নিজের ব্যাংক একাউন্টটি চলমান রয়েছে কিনা এই বিষয়েও নজর দিতে হবে। অন্যথায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা আসা বন্ধ করে দেওয়া হবে সরকারের তরফে।
উপরোক্ত উল্লেখিত নথিগুলো সময় মতো জমা না করলে বা নিয়ম না মানলে অবিলম্বে সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) অবিচ্ছেদ্য পরিষেবা পাওয়ার জন্য নিজের নথিগুলো ঠিক আছে কিনা অবশ্যই যাচাই করে নেবেন।