Bankura-Durgapur Rail Route: ভারতীয় রেলের হাত ধরে রেলপথ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন হয়েছে।এবার ২০২৫ সালের শুরুতেই বাঁকুড়া-রানীগঞ্জবাসীদের জন্য নতুন চমক দিল রেল কর্তৃপক্ষ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছেন বাঁকুড়া রানীগঞ্জবাসীরা। এবার থেকে যাতায়াতের জন্য আর শুধুমাত্র বাসের উপর নির্ভর করতে হবে না।
দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়া (Bankura-Durgapur Rail Route) দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বাঁকুড়ার অনেক শ্রমিক দুর্গাপুরের বহু কারখানায় চাকরি করেন। এছাড়াও দুর্গাপুরে রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, বেসরকারি স্কুল, কলেজ শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স। এর পাশাপাশি বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় রয়েছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। অর্থাৎ দুই জায়গার মধ্যে প্রতিনিয়ত মানুষের যাতায়াত লেগেই আছে।
আর কিছুদিনের অপেক্ষা, তারপরেই নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। দুর্গাপুর-বাঁকুড়ার মধ্যে যাতে রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়, তাতে দাবী করে আসছে সাধারণ মানুষ থেকে রানীগঞ্জের বণিকসভা, বাঁকুড়ার মৈত্রী সংঘ। এই দাবি পূরণের স্বার্থেই বিষ্ণুপুরের সংসদ, সৌমিত্র খাঁ রেলমন্ত্রী ওশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে দেখা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী তার প্রত্যুত্তরে জানিয়েছেন যে, সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় রেলের নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গাপুর ও রানীগঞ্জের সাথে যুক্ত হতে চলেছে বাঁকুড়া। সুত্রের খবর অনুযায়ী, বেলিয়াতোড়-দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়া- রানীগঞ্জ রেলপথ চালুর জন্য জমির জরিপের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরাদ্দ হল ১০০ কোটি, আধুনিকীকরণের পর নতুন কি কি সুবিধা মিলবে
দুর্গাপুর-বাঁকুড়ার (Bankura-Durgapur Rail Route) মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ তৈরি হলে সাধারণ মানুষ থেকে ছাত্রছাত্রী সবাই যেমন উপকৃত হবে, তেমনি আর্থসামাজিক দিক থেকে উন্নতি সাধন হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আগের মতো ব্রেক জার্নি করে যাওয়ার দিন অবশেষে শেষ হতে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই সাধারন মানুষের মধ্যে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই রেলপথ স্থাপন হলে দুর্গাপুর রানিগঞ্জ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কৃষকেরাও উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেলপথের (Bankura-Durgapur Rail Route) যোগাযোগের মাধ্যমে বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর এবং মশাগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন হবে। তবে নতুন প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে তা রেল কর্তৃপক্ষ থেকে এখানে জানানো হয়নি।