MS Dhoni: ভারতীয় ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয়ী এবং এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বাইশ গজে ঠাণ্ডা মাথায় কত হেরে যাওয়া ম্যাচ দেশের জন্য ফিনিশ করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সঙ্গে তাঁর স্ট্যাম্পিং স্পিডের রেকর্ড আজও ক্রিকেট উইকেট কিপারদের জন্য অধরা রয়ে গেছে। এছাড়া এখনও তাঁর ক্যাপ্টেন্সি চর্চায় উঠে আসে প্রায়শই। ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশের খেলা বিশেষজ্ঞরাও তাঁর এই ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের অধিনায়কত্বে ঈর্ষা প্রকাশ করেছেন বহুবার।
তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার সবসময় চর্চায় থাকলেও সব সময় কেন্দ্র বিন্দু থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন ধোনি (MS Dhoni)। রাঁচির ফার্মহাউসে পরিবার এবং পোষ্য নিয়ে বাস ক্যাপ্টেন কুলের। এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন তিনি মোবাইল থেকে সবসময় দূরে থাকেন। যদিও এর প্রমাণ তাঁর সমাজ মাধ্যমের একাউন্টগুলো দেখলেই পাওয়া যায়। কালে ভদ্রে তাঁকে সমাজ মাধ্যমে অ্যাক্টিভ থাকতে দেখা যায়। তবে স্পটলাইট থেকে দূরে থাকা ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার এবার উঠে এলেন শিরোনামে। বাড়িতে বেআইনি কাজ আর তার জেরেই আদালত থেকে এলো নোটিশ।
রাঁচির মেকন কলোনির ছোট কোয়ার্টার থেকে টিকিট কালেক্টর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni) থেকে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হয়ে ওঠার জার্নি রূপকথাকেও হার মানাবে। তিনি মেকন কলোনি ছেড়ে চলে এসেছিলেন হরমু হাউজিং কলোনিতে। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ধোনিকে এই অঞ্চলেই ৫ কাঠা জমি উপহার দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর তিনি চলে আসেন রাঁচির রিং রোড এলাকায়। সেখানেই সাত একর জমিতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে প্রাসাদসম ফার্মহাউস। খবরে এবার উঠে এলো ধোনির হরমু হাউজিং কলোনি।
আরো পড়ুন: আগের তুলনায় আরও ধনী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো তহবিলের পরিমাণ
জানা যাচ্ছে ধোনি ওই এলাকায় যেই বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িটিই নাকি ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ বাণিজ্যিক কাজে। ১০ হাজার স্কয়ারফিটের এই বাড়িতে জাঁকিয়ে চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এর জন্য ইতিমধ্যেই ধোনির (MS Dhoni) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য হাউজিং বোর্ড। আসতে পারে আইনি নোটিশ। এই বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান বোর্ডের থেকে দেওয়া আবাসিক জমিগুলো শুধুমাত্র বসবাসের জন্য ব্যবহার করা যাবে এর কোনও অন্যথা হলে সেটাকে অবৈধ বা বেআইনি বলেই ধরা হবে।
যদিও নোটিশের ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি। তিনি বলেন ধোনিকে (MS Dhoni) নোটিশ দেওয়া হয়নি। তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন তাই ইতিমধ্যেই তদন্তের কথা জানানো হয়েছে আধিকারিকদের। অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তবে নোটিশ দেওয়া হবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। তবে শুধু ধোনি নন এই একই অভিযোগে অভিযুক্ত রয়েছেন আরও ২০০-৩০০ লোক।