Inflation: ঋণের ওপর নয়া সুদের হার নিয়ে বিরাট আপডেট। ইতিমধ্যেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ঋণনীতিতে সুদের হার কমিয়েছে আমেরিকা শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ। এদিকে আমেরিকার সুদ হ্রাসে RBI-এর থেকে ঋণনীতিতে সুদ সুরাহার প্রত্যাশা ভারতের ঋণগ্রহীতা এবং শিল্পদের। এই পরিস্থিতিতে আবার জোরালো হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব। চড়া মূল্যবৃদ্ধি (Inflation) বাজারে। এই আবহে কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরবিআই? ঋণগ্রহীতাদের জন্য কি খুশির খবর রয়েছে?
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরবর্তী সময় থেকেই ৬.৫ শতাংশ হারে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক RBI। তবে খবর রয়েছে ৭ই অক্টোবর ২০২৪ অর্থাৎ মঙ্গলবার একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি তরফে। যেখানে ঋণের ওপর সুদের হার কতটা হ্রাস-বৃদ্ধি হবে তা নিয়ে চলবে আলোচনা। আগামী বুধবারেই জানিয়ে দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত।
পূর্ব বছরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফে জানানো হয়েছিল যে মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নিম্নমুখী হলে ঋণের ওপর সুদের হার হ্রাস করার কথা তারা ভাবতে পারেন। সেই অনুযায়ী গত দুই মাস ধরে মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় সুদ সুরাহার প্রত্যাশা করছেন ঋণগ্রহীতারা। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান প্রত্যাশা হতাশায় পরিণত হতে পারে। কারণ খাদ্য পণ্যের মূল্য চড়া থাকায় খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি (Inflation) বেশ আশঙ্কায় রয়েছে। তার ওপর সুদ হ্রাসের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরান-ইজরায়েলের জোরালো যুদ্ধ। যার ফলে বাড়তে পারে পণ্যসহ অশোধিত তেলের দাম।
ঋণনীতির নয়া সুদের হার বিষয়ে BOB-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবীশ জানিয়েছেন যে তারা ঋণের ওপর সুদের হার পরিবর্তনের কোনো আশা করছেন না। কারণ গত দুই মাসে মূল্যবৃদ্ধি কম থাকলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তা ৫ শতাংশের উর্ধ্বমুখী হতে পারে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) হার মাথাচাড়া দিয়েছে। অপরদিকে গভীর সমস্যা তৈরি করতে পারে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ।
অন্যদিকে ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারিতে ২৫ বেসিস পয়েন্টে সুদ হ্রাস হওয়ার ধারণা মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের। তবে যদি সুদের হার কমে সেক্ষেত্রেও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আশঙ্কায় থাকবে। কিন্তু এদিকে খাদ্যের দাম চড়া থাকায় আমেরিকার সুদ হ্রাসের উস্কানিতে ভারত ঋণের ওপর সুদের হার কমানোর আশা করলেও মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) পরিস্থিতি দ্বন্দ্বে রেখেছে আরবিআইকে। ফলস্বরূপ মূল্যবৃদ্ধির কারণে হয়তো ভারতের ঋণনীতির সুদের হারে পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে সঠিক খবর জানা যাবে বুধবার।