Loan Rejection Reason: দুর্দান্ত পে ব্যাক হিস্টরি সঙ্গে উচ্চমানের ক্রেডিট স্কোর থাকা সত্ত্বেও মিলছেনা ঋণ! এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বা অন্যকোনো ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন বাতিল করে দিতে পারে গ্রাহকের ঋণের আবেদন। এর পিছনে থাকা একাধিক কারণের কথা জানিয়েছেন ঋণ প্রদায়ক বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নিই সেইসব কারণ:
১. অনেক সময় কিছু নির্দিষ্ট ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র দেশের কিছু নির্বাচিত শহরেই পরিষেবা দিয়ে থাকে। তারা শুধুমাত্র তালিকায় থাকা শহরের বাসিন্দাদের দিয়ে আসেন ঋণ। এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারীরা অন্য কোনো শহর থেকে আবেদন করেন তবে ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকলেও পাওয়া যাবেনা ঋণ (Loan Rejection Reason)। একই ভাবে দেখতে গেলে HDFC Live Plus ক্রেডিট কার্ডে ঋণ পেতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই কলকাতা, আমেদাবাদ, চন্ডিগড়, জয়পুর, কয়েমবাট্টুর, কোচি, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, হায়দরাবাদ, নয়ডা, পুনে, দিল্লি, গুরুগ্রাম অথবা চেন্নাই শহরের বাসিন্দা হতে হয়, অন্যথায় ঋণ পাওয়া যায় না।
২. এছাড়াও প্রতিক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার সময় আবেদনকারীর আয়ের হিসেব বিচার করা হয়। এই জন্যই চাকুরীজীবি এবং ব্যবসায়ীদের আলাদা ভাগে রাখা হয়। এবার অনেক ক্ষেত্রে যদি আয়ের নিরিখে ব্যক্তির ঋণের পরিমাণ বেশি মনে হলে ঋণ দেওয়ার আবেদন খারিজ (Loan Rejection Reason) করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
৩. আবার আবেদনকারীর যদি বারবার চাকরি বদল করার প্রবণতা থাকে তবে ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকলেও অনেক সময় বাতিল হয়ে যায় ঋণের আবেদন (Loan Rejection Reason)। কারণ স্থিতিশীল রোজগার করা ব্যক্তিদের ঋণ দিলে তা বেশি সফলতা পায় আর এতে ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার ঝুঁকি কম হওয়ায় সেদিকেই বেশি ঝুঁকে থাকতে দেখা যায় ঋণ প্রদায়ক সংস্থাগুলিকে।
আরো পড়ুন: বয়স্কদের জন্য ফাটাফাটি এই স্কিম, প্রতি মাসে পাওয়া যাবে ২০,০০০ টাকা
৪. ঋণ দেওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট স্কোরের পাশাপাশি ঋণ এবং আয়ের অনুপাতও খতিয়ে দেখে। যদি ঋণের পরিমাণ ওই ব্যক্তির আয়ের ৩৫ শতাংশ বা তারও কম হয় সেক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া হয় সহজেই। যদি ঋণের পরিমাণ বেশি হয় তবে বাতিল হয়ে যেতে পারে ঋণের আবেদন (Loan Rejection Reason)।
৫. এছাড়াও ঋণ পেতে গেলে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজের KYC আপডেট করে রাখতে হয় এছাড়াও এই সমস্ত নথিও জমা করতে হয় ঋণের আবেদনপত্রের সাথে। যদি এমনটা না করা হয় তাহলেও বাতিল হতে পারে ঋণের আবেদন।
৬. মনে রাখতে হবে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেডিট স্কোর ৭৫০ বা তার বেশি হলে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠানে কম সুদে ঋণ পাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। আর ক্রেডিট স্কোর কম থাকলে ঋণের আবেদন বাতিলও (Loan Rejection Reason) করতে পারে ব্যাঙ্ক।