Hazarduari: পর্যটক শূন্য হাজার দুয়ারী, চিন্তায় হোটেল ব্যবসায়ীরা

Hazarduari: পর্যটক শূন্য হাজার দুয়ারী, চিন্তায় হোটেল ব্যবসায়ীরা মুর্শিদাবাদের লালবাগ জেলায় অবস্থিত হাজার দুয়ারী প্যালেস। মুর্শিদাবাদ নামটা শুনলেই এই হাজারদুয়ারির কথাই সবার আগে মাথায় আসে। নববী আমলে তৈরি করা হয়েছিল এই প্যালেস। এখানে আসল নকল মিলিয়ে মোট হাজারটি দরজা রয়েছে। এই কারণেই এই প্যালেসের নাম হাজারদুয়ারি। শীতকালে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। কিন্তু এবার ব্যবসায়ীদের কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ। আশানুরূপ দেখা মিলছে না পর্যটকদের।

মুর্শিদাবাদ ঐতিহাসিক এলাকা। শুধুমাত্র হাজারদুয়ারি (Hazarduari) নয়, এখানকার আশপাশের আরও অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো ইতিহাসের সাক্ষী বয়ে নিয়ে চলেছে। আর সেই সমস্ত স্থান দর্শনে পর্যটকদের ভিড় জমে দেখার মতন। হাজারদুয়ারির পাশাপাশি আশপাশের প্রত্যেকটা এলাকাতেই পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। তবে হাজারদুয়ারির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণটা একটু বেশি। মাত্র কুড়ি টাকা টিকিটের বিনিময়ে ঘুরে দেখা যায় এই প্যালেস। কিন্তু এবছর শীত পড়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত হাজারদুয়ারি চত্বরে তেমনভাবে পর্যটকের দেখা মেলেনি। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন পর্যটক সেখানে ঘোরাফেরা করছেন।

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদ। এখানকার বহু মানুষ শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর করেই জীবন যাপন করেন। হোটেল ব্যবসায়ী, গাড়ি চালানো, টুরিস্ট গাইড ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত তারা। কিন্তু সেখানে যদি পর্যটকদের ভীড়ই না জমে, তাহলে তাদের আয় হবে কি করে? হাজারদুয়ারির (Hazarduari) মতন ঐতিহাসিক জায়গা, যেখানে সারা বছরই পর্যটকদের উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। সেখানে মোরশুমেই নেই পর্যটকদের ভিড়। ব্যবসায়ীদের মতে করোনাকালে যে অবস্থা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে সেই একই অবস্থা তৈরি না হলেও বর্তমান পরিস্থিতিও প্রায় পর্যটক শূন্য বলাই চলে।

আরো পড়ুন: দীঘা জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কবে হবে উদ্বোধন

কিন্তু তারপরও আশা ছাড়েননি এই সমস্ত ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদে তেমনভাবে পর্যটকদের দেখা না মিললেও খুব শীঘ্রই ভিড় জমতে শুরু করবে বলে আশা রাখছেন তারা। কারণ এখনো অনেক জায়গায় পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। সেই জন্যই হয়তো পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে ভিড় সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। তাই ডিসেম্বরের শেষের দিকে আশানুরূপ ভিড় জমবে বলেই আশা রাখছেন তারা।

মুর্শিদাবাদ এলাকাটাই ঐতিহাসিক। এখানকার শুধু হাজারদুয়ারি (Hazarduari) নয়, লালবাগ ছাড়াও আরো একাধিক জায়গা রয়েছে যা ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে। আর সেই কারণে সাধারণ পর্যটকই হোক অথবা কোন স্কুলের শিক্ষামূলক ভ্রমণই হোক ঐতিহাসিক স্থান নির্বাচন করতে হলে সবার আগে মুর্শিদাবাদের কথাই মনে আসে। তাই জন্য এই এলাকায় সারা বছর জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। তাই শীতের শুরুতে আচমকা এই পর্যটক শূণ্য মুর্শিদাবাদ দেখে একটু হলেও চিন্তান্বিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে তারা ভীষণভাবে আশাবাদী। এই মাসের শেষ থেকে নতুন বছরের শুরুটা পর্যটকদের ভিড়েরে জমজমাট থাকবে গোটা মুশিদাবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *