বিশ্বের অন্যতম দুই দেশ হলো ভারত-মলদ্বীপ (Maldives-India)। পূর্বের বেশ কিছু মাস ধরে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল এই দুটি দেশের মধ্যে। মূলত চিনপন্থী হিসেবে মহম্মদ মইজ্জুর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই দিল্লির সাথে মালের তিক্ততা বৃদ্ধি ঘটে। তবে সাম্প্রতিক সেই বিবাদ ভুলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পুরনো সম্পর্ক। গাঢ় হল সম্পর্কের বন্ধন। কে কাকে সাহায্য করলো? কিভাবেই বা সাহায্য করল?
প্রসঙ্গত, মলদ্বীপে এখনো পর্যন্ত শেষ যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন চিনপন্থী মহম্মদ মইজ্জু। মূলত ভারতের বিরুদ্ধেই মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আসন গ্রহণ করেন তিনি। আর তারপর থেকেই মলদ্বীপের সাথে ভারতের একের পর এক ইস্যু তৈরি হয়ে দূরত্ব বাড়ে মলদ্বীপ-ভারতের (Maldives-India) সম্পর্কে। সাম্প্রতিক বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে সেই ভারতকেই পাশে পেল মলদ্বীপ।
বর্তমান সময়ে আর্থিক সংকটে ভুগছে মলদ্বীপ। টান পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রায়। আর এই আবহেই ভারত সফরে যান মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট। সেখানে যেতেই মলদ্বীপকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। ৬৩০০ কোটি টাকা দিয়ে মলদ্বীপকে সাহায্য করে মোদীজি। যার ফলে ভারত সহ মোদিজীর প্রতি কৃতজ্ঞ মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট মইজ্জু।
সূত্রের খবর, মলদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রা সংকট নিয়ন্ত্রণে মলদ্বীপকে ভারত তরফে প্রদান করা হয়েছে ৩০০০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু তাই না, এর পাশাপাশি ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক মুদ্রা বিনিময়ের।
অন্যদিকে পূর্ব সরকারের আমলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মলদ্বীপের থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রেজারি বিল কিনেছিল। যার প্রতিটি বিল ৫০ মিলিয়ন ডলারের। যার মধ্যে একটি ৫০ মিলিয়ন ডলার বিল গত জানুয়ারি মাসে পরিশোধ করে মইজ্জু সরকার। কিন্তু পরবর্তী মে মাসের ৫০ মিলিয়নের বিল বকেয়া রয়ে যায় মইজ্জু সরকারের। সেদিক থেকেও সাহায্য করে ভারত সরকার। সেই বিল পরিশোধের সময়সীমা আরো এক বছর বাড়িয়ে দেয় ভারত। পাশাপাশি তারপরের বিল পরিশোধের সময়সীমাও বাড়িয়ে দেয় মোদি সরকার। যা জানান মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট মইজ্জু নিজেই। তাঁর কথায় ভারতের এই সাহায্যে তাদের আর্থিক সংকট অনেকটাই হ্রাস হবে। তাই ভারতের বন্দনায় ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মইজ্জু সরকার।