Chief Minister: ২৬ পর্যন্ত তিনিই থাকবেন, তিন বার্তাতেই স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। সম্প্রতি আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক। দলের ভিতরে একটি রদ বদলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবের ভবিষ্যৎ কি? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। একেবারে মুশরেই পড়েছিল তরুণ সদস্যরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবটি দলনেত্রী কি মানবেন? তবে বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বার্তা স্পষ্ট। তিনি দলের মুখ ছিলেন, ২৬ অব্দি তিনিই থাকবেন।
এদিন বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত সদস্যদের দিয়ে একটি শপথ গ্রহণ করানো হয়। শপথে বলা হয়েছিল বৈঠকে আলোচিত কোন তথ্য বাইরের কেউ যেন জানতে না পারে। কোন তথ্য যেন বাইরে প্রচার করা না হয়। বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) স্পষ্ট জানিয়েছেন এই দলের মধ্যে কি হচ্ছে? কে কোথায় কি করছে? কার সাথে মিশছে? কি ধরনের কথা আলোচনা হচ্ছে? সব খবর তিনি রাখছেন। দল বিরোধী কোনো রকম কার্যকলাপ তিনি বরদাস্ত করতে রাজি নন।
মূলত এই দিন বৈঠকে তিনটি বার্তা খুব স্পষ্ট ভাবে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা তিনটি হল,
- সংবাদ মাধ্যমের সমন্বয়ে অরূপ বিশ্বাসকে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব দেওয়া এবং নানা জনের নানা মতে গণ্ডি টেনে দেওয়া।
- জাতীয় কর্ম সমিতিতে সংযোজনের তালিকা।
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা কমিয়ে দেওয়া।
এই তিনটি বার্তাই মুখ্যমন্ত্রীর অস্তিত্ব ও ভূমিকা প্রকাশ করতে যথেষ্ট কার্যকরী হয়েছে।
আরো পড়ুন: দীঘাতে আর নয় অতিরিক্ত ভাড়া, ছুটির মরশুমের আগেই কড়া প্রশাসন
দলের কর্ম সমিতিতে নতুন পাঁচজনকে যুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচজন হলেন মানষ ভূঁইয়া, মালা রায়, জাভেদ আহমেদ খান, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধানসভার বর্তমান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পাঁচ জনই অত্যন্ত প্রবীণ এবং মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ণিত বয়সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন এই পাঁচজনই। কিছুদিন আগে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছিল তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। যারা মমতা বিনা তৃণমূলের কথা ভাবছেন তারা যেন একটু সামনে এসে কথা বলেন।
যে নতুন পাঁচজন সদস্যকে তৃণমূল জাতীয় কর্ম সমিতিতে যুক্ত করেছে তাদের প্রত্যেকের ভূমিকাই দলের জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে তাদের এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে লড়াই করতে দেখা গেছে। দলের শীর্ষ স্থানে মুখ্যমন্ত্রীকেই (Chief Minister) দেখছেন তারা। এদিন বৈঠকে অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি নতুন পাঁচজন সদস্যকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী ভূমিকা বেশ ভালোভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তিনি যেমন আগেও দলের নেত্রী ছিলেন, এখোনো আছেন, ভবিষ্যতেও তিনিই থাকবেন। কোনরকম পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনাই নেই।