Joydev Setu: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বীরভূমের ইলামবাজার থেকে ভার্চুয়ালি ‘জয়দেব সেতু’ –এর উদ্বোধন করেছেন। এই সেতুটি অজয় নদীর ওপর নির্মিত একটি স্থায়ী সেতু, যা বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে পাকাপাকি ভাবে সংযোগ ঘটাবে।
দৈর্ঘ্য ও খরচ: মোট ২.৭৩ কিমি লম্বা এবং নদীর উপর স্থিত প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি বর্ধমান থেকে সরাসরি জয়দেব কেন্দুলি পৌছেছে। সেতুটির নির্মাণে ১৩৮.২৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যা নির্মিত হয়েছে পশ্চিম বঙ্গের PWD ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে।
উদ্বোধন: আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইলামবাজারের এক জনসভা থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন এবং সেতুর নাম ‘জয়দেব সেতু’ (Joydev Setu) রাখার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
জয়দেব সেতু (Joydev Setu)
এই অঞ্চলের মানুষ এই নদী পারাপার করবার জন্য দীর্ঘদিন যারা কাঁচা সেতু বা হিউম পাইপ ব্যবহার করতেন, যা প্রতি বছর বর্ষার মরসুমে বৃষ্টিতে ভেসে যেত। এখন নতুন সেতু নির্মিত হওয়ায় সেই ভোগান্তির অবসান হয়েছে। এটা স্কুল-ছাত্র, রোগী ও ব্যবসায়ী যাদের যাতায়াতে সমস্যা হত, তাঁদের জন্য বড় সহায়ক হল। শুধু তাই নয়, ইলামবাজার থেকে শান্তিনিকেতন ও কেঁদুলি মোড় পর্যন্ত যাতায়াত করতে প্রায় ২২-২৫ কিলোমিটার জাত্রা পথ কমেছে, ফলে সময় ও জ্বালানি দুইই সাশ্রয় হবে। এর ফলে এই অঞ্চলের পর্যটন ও ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নামখানা, কলকাতার নিকটস্থ নতুন পর্যটন কেন্দ্র
প্রকল্পের প্রেক্ষাপট
দুই জেলার বাসিন্দারাই জয়দেব সেতুর (Joydev Setu) উদ্বোধনকে এক দশকের চেষ্টার পর স্বপ্নপূরণ হয়েছে বলে মনে করছেন। ২০১৭ সালে এই সেতুর পরিকল্পনা ঘোষণা হয়েছিল; কিন্তু জমি অধিগ্রহন সমস্যা ও বন্যার কারণে বিলম্ব হয়েছে। অবশেষে সেতুর কাজ শেষ হয়ে তা উদ্বোধন হলো।
সামগ্রিক প্রভাব
পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ী সেতু নির্মিত হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে এবং চলাচল আগের তুলনায় নির্বিঘ্ন হবে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন, কেঁদুলি সহ আশপাশের এলাকার প্রবৃদ্ধি আসবে। যাতায়াত সহজ হওয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সরকারি সেবা সহজলভ্য হবে। ‘জয়দেব সেতু’ (Joydev Setu) হচ্ছে একটি দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত অবকাঠামো যা আজ বাস্তবে রূপ নিল। এটি শুধু সেতু নয়, এক ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতীক এবং স্থানীয় মানুষের স্বপ্নপূরণই বলা যায়।