গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় বাঁধতে চলেছেন মার্ক জুকারবার্গ, তাতে ভারতের লাভ হবে কি?

যতদিন যাচ্ছে প্রযুক্তি ততই যেন উন্নত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে ভারতের সঙ্গে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নত এবং পাশ্চাত্যের বিভিন্ন সংস্থা ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। মার্ক জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠান মেটা শীঘ্রই কাজ শুরু করতে চলেছে ভারতের সঙ্গে। বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘ নেটওয়ার্কের কাজ করতে চলেছে মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানি। একেবারে সমুদ্রের নিচ দিয়ে যাবে এই নেটওয়ার্ক এবং এই নেটওয়ার্ক আমেরিকা, ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশকে একসঙ্গে যুক্ত করবে।

এই দীর্ঘ নেটওয়ার্কের কাজ চলবে মোট ৫০ হাজার কিলোমিটার পথ ধরে। এত বড় নেটওয়ার্ক বসানোর কাজ সত্যি তাক লাগিয়ে দেবে গোটা বিশ্বকে। এই ধরনের নেটওয়ার্ক এর কাজ পৃথিবীতে প্রথম হতে চলেছে। যে দেশগুলি দিয়ে এই নেটওয়ার্ক যাবে সেই দেশগুলির সঙ্গেও এটি নিজের যোগসূত্র স্থাপন করবে। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, মেটার এআইকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই প্রোজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে প্রোজেক্ট ওয়াটারওর্থ। এতে যে শুধু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি মেটা এখানে ২৪ জোড়া ফাইবারকে সমুদ্রের নিচ দিয়ে বসানোর কাজটি করে চলেছে। আসলে এতদিন পর্যন্ত কাজ চলছিল ৮ বা ১৬ ফাইবার জোড়া দিয়ে। কিন্তু নতুন এই ফাইবার অন্য দিক সামনে নিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন: আইআইটি খড়গপুরে তৈরি হচ্ছে প্রতিরক্ষায় ব্যবহারের ড্রোন, পরাস্ত হবে শত্রুরা

মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানি মেটা বরাবর ভারতকে ব্যবসার দিক থেকে বিরাট একটি বাজার বলে মনে করেছে। নিজেদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য তারা সবদিক থেকে চেষ্টা করছে। একবার যদি এই প্রকল্পটি চালু হয়ে যায় তাহলে ভারত আগামীদিনে অনেক বেশি ডিজিটালি কাজ করতে পারবে। এর প্রভাব পড়বে সরাসরি ভারতের অর্থনীতিতে। ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প এবং ব্যবসার ক্ষেত্র অনেক বেশি প্রসারিত হবে।

তবে বলা চলে শুধুমাত্র ভারত লাভবান হবে তা নয়, ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলের মতো দেশগুলিও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে। দেশের আর্থিক পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই প্রয়োজন উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা। মেটা অনেকদিন আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জলের নিচ থেকে এই কেবিল যাবে। আগের থেকে ইন্টারনেট ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত হবে। সমুদ্রের ৭ হাজার মিটার নিচ থেকে এই কেবিল যাবে বলে একে ক্ষতি করা সহজ হবে না। যেসব জাহাজ জলের নিচ দিয়ে চলাচল করবে তাদের অবশ্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কাজটি অবশ্যই সফল হবে এমনটা আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *