Mauni Amavasya: হিন্দু ধর্মে অমাবস্যার দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই তিথিতে পূণ্য স্নান এবং দাতব্য কাজ কর্মের জন্য গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মাস অনুযায়ী অমাবস্যা তিথির আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। এই যেমন মাঘ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অমাবস্যা তিথিকে বলা হয় মৌনী অমাবস্যা। যা ২০২৫ সালের প্রথম অমাবস্যা হতে চলেছে। দৃক পঞ্চং গ্রন্থ মতে আগামী ২৯শে জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা তিথি রয়েছে। যেদিন গঙ্গা স্নান করলে পূণ্য লাভ হয় বলে শোনা যায়।
এদিকে প্রায় ১৪৪ বছর পর তিথির মিলনে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। যার দ্বিতীয় অমৃত স্নান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ২৯শে জানুয়ারি মৌনি অমাবস্যার দিনে। বলা হয় মহাকুম্ভের এই অমৃত স্নান করলে সমস্ত রকম পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দৃক পঞ্চং অনুযায়ী মাঘ মাছের কৃষ্ণ পক্ষের অমাবস্যা (Mauni Amavasya) তিথিটি মৌনি অমাবস্যা রূপে ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫ সংখ্যা ৭টা বেজে ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে চলবে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৫ মিনিট পর্যন্ত। এই উদয়তিথি অনুযায়ী ২৯শে জানুয়ারি ধুমধাম করে পালন করা হবে মৌনী অমাবস্যা।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলার মূল কেন্দ্রবিন্দু কপিল মুনির আশ্রম, কে এই কপিল মুনি
মৌনি অমাবস্যা (Mauni Amavasya) তিথিতে পবিত্র নদী স্নানের জন্য শুভ সময় সম্পর্কে জানেন? জানা যাচ্ছে এই দিন পূণ্য স্নানের ক্ষেত্রে ব্রহ্ম মুহূর্ত হবে ভোর ৫টা বেজে ২৫ মিনিট আগে heje ৬টা বেজে ১৮ মিনিট পর্যন্ত। এইদিন রাত ৯টা বেজে ২২ মিনিট পর্যন্ত থাকছে সিদ্ধি যোগ।
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই মৌনি অমাবস্যার (Mauni Amavasya) দিন গঙ্গা নদী বা অন্য কোনো পবিত্র নদীতে স্নান সম্পন্ন করলে জীবনের সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যায়। সুযোগ হয় মোক্ষ লাভের। পূর্ব পুরুষদের শান্তির জন্যও জল এবং পিণ্ডদান ওরেন অনেকেই। এছাড়া এই দিনে ব্রাহ্মণ বা গরিবদের খাবার খাওয়ালেও পূণ্য লাভ হয়। এই অমাবস্যার দিনে সকলের পূর্বপুরুষরা সাক্ষাৎ করেন তাঁদের বংশধরদের সাথে। সন্তুষ্ট হলে দুহাত ভরে আশির্বাদ করেন নিজের নতুন প্রজন্মকে।