প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়েছে ১৪৪ বছর বাদে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে সমাগম ঘটেছে বহু মানুষের। পুণ্য লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছে এই স্থানে। সবথেকে বড় ব্যাপার বিদেশ থেকেও বহু মানুষের সমাগম ঘটেছে এখানে। তাই প্রশাসন এই জায়গাটিকে পরিষ্কার রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। কুম্ভের জায়গা পরিষ্কার রাখতে কত খরচ হচ্ছে যোগী সরকারের? চটজলদি দেখে নিন সেই হিসাব।
শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নিযুক্ত হয়েছে এই পরিষ্কারের কাজে। এখানে রয়েছে ১.৫ লক্ষ টয়লেট। ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত টয়লেট স্যানিটেশন ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকার। মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে চলতি বছরে ১৩ই জানুয়ারি থেকে।বহু কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এলাকা পরিষ্কারের জন্য।
ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে ৩.৫ লক্ষ কেজি ব্লিটিং পাউডার, ৭৫ হাজার ৬০০ লিটার ফিনাইল। কুম্ভমেলাতে এসে যাতে ৫০ কোটি ভক্ত সুস্থ স্বাভাবিকভাবে তাদের পুণ্যস্নান সম্পন্ন করতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশ দিয়েছেন ইকো ফ্রেন্ডলিভাবে কাজ করতে। প্রতিদিন এখান থেকে ৬৫০ মেট্রিক টন আবর্জনাকে সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। এই আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩৫০ টি মেশিন।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের জল নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা, কি বলছে তারা?
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের অর্ধ কুম্ভমেলায় রাজ্যের অর্থনীতিতে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে। সেই বছর এখানে সমাগম ঘটেছিল প্রায় ২৪ কোটি পুণ্যার্থীর। ২০১৯ সালের কথা মনে করিয়ে, যোগীর আশা, এবার প্রায় দু’ লক্ষ কোটি টাকার আয় হতে পারে রাজ্যের, সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
কুম্ভমেলাকে নির্বিঘ্ন ও সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে এই মহাকুম্ভ সুষ্ঠুভাবে পালন করা যায় তার জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ৭০টি জেলার প্রায় ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যতদিন মেলা চলবে যাতে সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকতে পারে তার ব্যবস্থাও নিতে হবে। এই কারণেই সাত-স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। কোটি কোটি ভক্তের গতিবিধি রাখতে পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে। পাশাপাশি বসানো হয়েছে ২৭০০ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ক্যামেরা। তাই মেলাপ্রাঙ্গণকে আবর্জনামুক্ত রাখতে সবধরণের ব্যবস্থাই করেছে যোগী সরকার।