Drosera: কোটি কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী। তারপর থেকে কত কত জীবের জন্ম এবং মৃত্যু ঘটে এসে বর্তমান জীবজগৎ তৈরি হয়েছে তার হিসেব নেই। বর্তমান জীবজগতেও এমন অনেক প্রাণী আছে যা এখনও বিজ্ঞানের দৃষ্টির আড়ালে রয়েছে। কত জীব পৃথিবী থেকে মুছে গেছে তারও হিসেব নেই।
পৃথিবীর কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে এমন কত জীব যাদের বৈশিষ্ট্য শুনলে অবাক হবেন যে কেউ। এমনই এক অবাক করা বৈশিষ্টের উদ্ভিদের খোঁজ পাওয়া গেলো বাংলার মাটিতেই। আমাজনের জঙ্গলে বসবাসকারী পতঙ্গভুক এক উদ্ভিদের (Drosera) খোঁজ মিলল বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। আর এই খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই শোরগোল পরে গেছে বিশ্ব জুড়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি জঙ্গলে খোঁজ মিলল আমাজনের পতঙ্গভুক উদ্ভিদের। নাম সূর্য শিশির, বিজ্ঞানসম্মত নান ড্রসেরা (Drosera)। দক্ষিণ আফ্রিকার আমাজনের জঙ্গলে এর মূল বসতি হলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে এর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদরা এবং চন্দ্রকোনার জঙ্গলে এর দেখা মিলেছে। নাইট্রোজেনের মাত্র কম থাকা শুষ্ক মাটিতে এই সূর্যশিশির জাতীয় উদ্ভিদের বৃদ্ধি চোখে পড়ে। এই উদ্ভিদের চারিদিকে কিছু শুঁড়ের মতো অংশ থাকে তার আগায় কিছু শিশির বিন্দুর মতো আঠা জাতীয় পদার্থ থাকে।
আরো পড়ুন: দীঘাতে আবার নতুন চমক, পর্যটকদের সুবিধায় চালু হলো এই পরিষেবা
আকারে সাধারণত ছোট হলেও এর ফুলের তীক্ষ্ম লাল বর্ণ সহজেই নজর আকর্ষণ করতে পারে। এর টানেই পতঙ্গরা আকৃষ্ট হয়ে ছুটে আসে। তখন শুঁড়ের ওই আঠালো অংশে আটকে যায়। তখন ঐ পতঙ্গের শরীরের নির্যাস থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে ওই উদ্ভিদ (Drosera)। পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর ব্লকের একটি পরিত্যাক্ত ইকো পার্কের জলাশয়ের পাশে এর দেখা মিলেছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি বহু বছর ধরে ওই উদ্ভিদ এখানে রয়েছে। ইতিমধ্যেই মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিদ্যার ছাত্র ছাত্রীরা এই গাছ দেখতে ভিড় জমাচ্ছে।
স্থানীয় দুই যুবক জানান তাঁরা বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ওই গাছ ওখানে রয়েছে। তারা দেখার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষককে দেখিয়েছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা জঙ্গলেও এই উদ্ভিদের (Drosera) দেখা মিলেছে। পতঙ্গভুক এই উদ্ভিদগুলোর নিরাপত্তার উপরেও নজর রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।