Muhammad Yunus: ট্রাম্পের জয়ে অস্বস্তিতে ইউনুস, মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের

Muhammad Yunus: ট্রাম্পের জয়ে অস্বস্তিতে ইউনুস, মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি আবারো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। তবে তার এই জয়লাভের পর সবথেকে বেশি অসুবিধায় হয়তো পড়েছে বাংলাদেশের সরকার প্রধান মোহাম্মদ ইউনুস। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তিনি ঘোষিত ট্রাম্প বিরোধী হিসেবে পরিচিত।

২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus) ট্রাম্প বিরোধী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ট্রাম্প। তার এই সাফল্যে ইউনুস খুশি হোক বা দুঃখিত, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে ভোলেননি তিনি। তাকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয়বারের জন্য আপনাকে নির্বাচন করার মধ্যে দিয়ে এটা বোঝা যাচ্ছে আমেরিকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাম্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণ তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।

এটুকুই নয় ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে গিয়ে ইউনুস (Muhammad Yunus) বলেছেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাহায্যের ইতিহাস রয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর এই সম্পর্ক আরো বেশ কিছুটা গভীর হয়েছে। দু দেশের বোঝাপড়া আরো শক্তিশালী ও স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য উৎসুক মোহাম্মদ ইউনুস। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো এর আগে ইউনুসের মুখে ট্রাম্পের সম্পর্কে খুব একটা ভালো কথা শোনা যায়নি। প্রথমবার জয়লাভ করার পর ইউনুস বলেছিলেন ট্রাম্পের জয়লাভ সূর্য গ্রহণের মত। হঠাৎ করেই কালো ছায়া ঘনিয়ে আসতে শুরু করেছে। তা যেন সমাজকে গ্রাস না করে।

আরো পড়ুন: একাধিক ভারতীয় সংস্থাকে নিষিদ্ধ করলো আমেরিকা, উঠলো বিস্ফোরক অভিযোগ

মহম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus) সম্পর্কে ট্রাম্পও যে খুব একটা ভালো কথা বলতেন তা কিন্তু নয়। প্রথমবার দায়িত্ব হাতে নেবার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হলে, তিনি বলেন ঢাকার মাইক্রো ফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায় যিনি ট্রাম্পকে হারানোর জন্য চাঁদা দিয়েছিলেন? ইঙ্গিতের মাধ্যমে তিনি মহাম্মদ ইউনুসকেই বোঝাতে চেয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাছাড়া মোঃ ইউনুসের সঙ্গে ক্লিংটোন পরিবারের ঘনিষ্ঠতা সবার জানা। কিছুদিন আগেও আমেরিকা সফরে গিয়ে তিনি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

কিছুদিন আগে যখন বাংলাদেশে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন কিন্তু ট্রাম্পকে বাংলাদেশের হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন তিনি দায়িত্বে থাকলেন এমন পরিস্থিতি কখনোই সৃষ্টি হতে দিতেন না। সারা বিশ্ব জুড়ে হিন্দুদের যে অবমাননা করা হচ্ছে তা তিনি সমর্থন করেন না। বাংলাদেশের হিন্দু বা অন্যান্য বঞ্চিত সম্প্রদায়ের জনসাধারণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে পাশে থাকতে রাজি আমেরিকার প্রেসিডেন্টও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *