Myanmar Civil War: মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ, পরিস্থিতি হাতের বাইরে, জানালো রাষ্ট্রপুঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরেই মায়ানমারে চলছে গৃহযুদ্ধ। রীতিমতো হইচই পরে গেছে এই নিয়ে। কিন্তু পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মায়ানমারের পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে নেই। এমনটাই জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত জুলি বিশপ মায়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন মানবাধিকার কমিটির কাছে। সেই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে মায়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে আর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। খুব শীঘ্রই হয়তো রক্তাক্ত পরিবর্তন হতে পারে শাসন ক্ষমতার।
রিপোর্টে পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয়েছে, মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ (Myanmar Civil War) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে দুপক্ষকেই অনর অবস্থা থেকে সরতে হবে। এক মানবিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের প্রাণ হাণীর আশঙ্কাই নয়, একাধিক বড় বড় অপরাধ সংঘটিত হবার প্রবণতাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। জুলি জানিয়েছেন, গৃহযুদ্ধের অছিলায় অস্ত্র উৎপাদন থেকে মানব পাচার সব রকম বড় ধরনের বেআইনি কারবার চলছে অবলীলায়।
মায়ানমারের এই গৃহযুদ্ধ ((Myanmar Civil War)) শুরু হয়েছে ২০২৩ সাল থেকে। তিনটি বিরোধীপক্ষ একসাথে জোট বেঁধে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। এই বিরোধীপক্ষগুলি হল মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, আরাকান আর্মি, তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। এই তিনটি দলের মিলিত প্রয়াস ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স সামরিক জুন্টা। সরকারের বিরুদ্ধে চলা এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ১০২৭। পরবর্তীতে এই দলটির সাথে যুক্ত হয়েছে আরো বেশ কিছু সামরিক বাহিনী।
আরো পড়ুন: বেড়েই চলেছে ক্ষোভের মাত্রা, কোন দিকে মোড় নেবে কানাডা ও ভারতের সম্পর্ক
সব মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা আর কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। দুপক্ষই যদি নিজেদের জায়গা থেকে একটু একটু করে সরে দাঁড়ায় তবেই হয়তো মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। একটু একটু করে মায়ানমারের একাধিক অংশ দখল করছে বিরোধীপক্ষ। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ বিরোধীপক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি। সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে জানানো খবর অনুযায়ী, আপাতত মায়ানমারের রাজধানী লেপিডো প্রধান শহর ইয়াঙ্গন এবং আরো কয়েকটি বড় জনপদের মধ্যেই আধিপত্য বিস্তার করেছে বিরোধীপক্ষ।
মায়ানমারে ঘটে যাওয়া গৃহযুদ্ধের (Myanmar Civil War) কবল থেকে বাঁচতে, নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এই নির্দিষ্ট এলাকার সামরিক বাহিনী বিরোধী পক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করছে। আবার অনেকে ভারত-বাংলাদেশে পালিয়েও প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। মায়ানমারের একাধিক ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিরোধীদলকে সমর্থন করছে। সেই কারণেই সরকার পক্ষ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে একটু একটু করে। পরিস্থিতির সামাল দেওয়া না গেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।