State Govt School: পূর্ববছরে যে হারে গরম পড়েছিল তাতে বাড়তি ছুটিতে স্কুলছুট হয়েছিল বহু পড়ুয়া। পড়াশোনার ক্ষেত্রে যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। তবে চলতি বছরে সেই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই কাঠফাটা গরম চলতি বছরে পড়াশোনাক্ষ যাতে ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য বিরাট পদক্ষেপ নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গ্রীষ্মকালীন সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলির পঠন-পাঠন নিয়ে তৈরি করল ২ ধরনের রুটিন। কেমন রুটিন তৈরি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? কাদের জন্যই বা এই রুটিন প্রযোজ্য? কবে থেকে চালু হবে?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত
আবহাওয়াবিদদের খবর অনুযায়ী ২০২৫এর ফেব্রুয়ারির শেষের দিক অথবা মার্চের প্রথম দিক থেকেই অনুভূত হচ্ছে গরম। এপ্রিলের আগে থেকেই বেলার দিকে চাঁদিফাটা গরমে বাইরে বেরোনোর দায় হয়ে উঠছে। তবে কিছুদিন বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও আবারো গরমে শুরু হয়েছে গা জ্বালানি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, প্রায় ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি উষ্ণতা চড়বে মার্চের শেষের দিকে। আর এই খবর শুনেই রাজ্যের পড়ুয়ার কথা ভেবে স্কুলগুলোর (State Govt School) জন্য বড় পদক্ষেপ নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিদ্ধান্ত মতো প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে ২ ধরনের রুটিন।
কবে থেকে স্কুলগুলিতে (State Govt School) চালু হবে এই নতুন নিয়ম?
পর্ষদ সূত্রে খবর আগামী মাস অর্থাৎ এপ্রিল মাস থেকেই চালু হবে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নতুন রুটিনে পড়াশোনা। রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলগুলোর জন্য এই দুই ধরনের রুটিন তৈরি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যার ফলে তীব্র গরম পড়াশোনার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।
কি ধরনের রুটিন তৈরি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আগামী এপ্রিল মাস থেকে চালু হতে চলা দুই ধরনের দৈনিক রুটিন প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে একটি মর্নিং রুটিন এবং একটি ডে বিভাগের রুটিন। অর্থাৎ এই দুই রুটিন অনুযায়ী এপ্রিল মাস থেকে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে (State Govt School) ক্লাস শুরু হবে সকাল ৬:৩০ থেকে ১০:৩০ এবং ১০:৫০ থেকে ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের পর এবার শিক্ষায় নজর, বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণে আসতে চলেছে আইন
শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের কি মত?
পর্ষদের তরফে প্রকাশিত এই নতুন রুটিন দেখে চমকে গিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। অনেকেই এই বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য বলছেন। আবার অনেকের মতে এই ধরনের রুটিন স্কুলের পড়ুয়াদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই সহমত প্রকাশ করছেন না। শুধু তাই না, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষক সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা পর্ষদের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মানছেন না।
কি কারনে এই নতুন রুটিন প্রকাশ শিক্ষা পর্ষদের?
বিশেষত রাজ্যের বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুলে (State Govt School) ষষ্ঠ থেকে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হয়। মূলত সেই কারণেই মর্নিং এবং ডে দুই ধরনের রুটিন তৈরি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যার ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মর্নিং এবং ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ডে সেশনে পঠন-পাঠন করা যায়। অন্যদিকে নয়া রুটিন প্রসঙ্গে অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই বলেছেন, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে গরমের বাড়তি ছুটি কাটছাঁট করে পড়াশোনার দিনসংখ্যা অপরিবর্তিত রেখে যে মর্নিং সেশনে রুটিন তৈরি করা হয়েছে। তা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও চালু করার কথা জানিয়েছেন চন্দনবাবু।