Bridge Construction: যোগাযোগ মাধ্যমে নয়া পদক্ষেপ, নির্মিত হবে কংসাবতী-শিলাবতী নদীর উপর নতুন সেতু

Bridge Construction: যাতায়াতের যোগাযোগ মাধ্যমগুলির মধ্যে এক বিশেষ মাধ্যম হল সড়কপথে যাতায়াত মাধ্যম। এবার সেই সড়কপথের যাতায়াত উন্নত করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করল জাতীয় সড়কপথ কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই শুরু হবে মেদিনীপুরের কংসাবতী-শিলাবতী নদীর ওপর বিকল্প ২ সেতু নির্মাণের কাজ। ইতিমধ্যেই সমাপ্তির পথে নয়া সেতু নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণ।

বিকল্প সেতু নির্মাণের কারণ

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর ও খড়গপুরের সংযোগ স্থাপনে ১৯৭২ সালে এক বিশেষ সেতু নির্মাণ (Bridge Construction) করা হয়। যার নাম বীরেন্দ্র সেতু বা মোহনপুর ব্রিজ। যা মেদিনীপুরের সাথে কলকাতা সহ অন্যান্য রাজ্যের যোগাযোগকে সম্প্রসারিত করে। কংসাবতী নদীর উপরে নির্মিত হয় এই সেতু। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম গড়বেতার ধাদিকা সেতু। যা শিলাবতী নদীর উপর নির্মিত হয়। তবে কালের নিয়মে বর্তমানে দুর্বল হয়ে পড়েছে দুই সেতু। সংস্করণ হলেও অধিক মাল বোঝাই গাড়ি চলার অনুমোদন নেই এই দুই সেতুতে। আর সেই কারণেই মেদিনীপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে কংসাবতী-শিলাবতী নদীর উপর দুই বিকল্প সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন।

পূর্ব সংস্করণ

খবর অনুযায়ী মেদিনীপুরের ভগ্নপ্রায় অর্ধশতাব্দী প্রাচীন বীরেন্দ্র সেতু বা মোহনপুর ব্রিজ এবং ধাদিকা সেতু পূর্বে সংস্করণ করা হয়। ২০২০ সালে সংস্করণ করা হয় ধাদিকা সেতুর এবং ২০২৩ সালে সংস্করণ করা হয় বীরেন্দ্র সেতুর। সংস্করণের পর প্রশাসন তরফে অনুমোদন দেওয়া হয় ২৫ টন পর্যন্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের। যার ফলে সমস্যায় পড়ে বড় বড় ব্যবসায়ী, ট্রাক ড্রাইভার ও শিল্পপতিরা। দাবি ওঠে এই দুই সেতুর বিকল্প সেতু নির্মাণের (Bridge Construction)। সেই মতো ২০২১এ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে সেই সময়কার জেলাশাসক রশ্মি কমল, মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইয়া। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুই বিকল্প সেতু নির্মাণের। আর সেই সিদ্ধান্তেরই বাস্তবায়ন ঘটতে চলেছে বর্তমানে।

কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে বিকল্প সেতু নির্মাণে (Bridge Construction)?

কংসাবতী-শিলাবতী নদীর উপর বিকল্প দুই সেতু নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হওয়ার পর ২০২৩ সালে কেন্দ্র তরফে এই অর্থ সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়। তবে অর্থ বরাদ্দ হলেও এতদিন শুরু হয়নি সেই বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ। চলছিল সেতু নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণ।

আরও পড়ুন: এবার বাঁকুড়া টু হাওড়া পর্যন্ত ছুটবে ট্রেন, জানানো হলো সময়সূচী

কবে থেকে শুরু হবে কাজ?

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তরফে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে প্রায় শেষের পথে টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণের কাজ। শনিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণ থেকে সমীক্ষা সমস্ত কাজই শেষের দিকে। আশা করছেন আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে এই টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণের কাজ। আর তারপরেই টেন্ডার অনুযায়ী শুরু হবে বীরেন্দ্র এবং ধাদিকা সেতুর বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ। যা জানিয়েছেন বর্তমান জেলা প্রশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী এবং জেলা পরিষদ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ।

কিভাবে নির্মিত হবে? কবে শেষ হবে সেতু নির্মাণ?

জাতীয় সড়কপথ কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ অফিসাররা জানিয়েছেন, বীরেন্দ্র সেতু এবং ধাদিকা সেতুর পাশেই তৈরি হবে এই দুই বিকল্প সেতু (Bridge Construction)। যা মোট ৪ লেনের তৈরি করা হবে। বীরেন্দ্র সেতুর বিকল্প সেতু চওড়ায় হবে প্রায় ২৭ মিটার এবং দীর্ঘ হবে প্রায় দেড় কিলোমিটার। যা মোহনপুর থেকে শুরু হয়ে মোহনপুর পার্কের উপর দিয়ে বিস্তৃত হবে। ব্রিজের পাশে ফুটপাতের জায়গাও করা হবে। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় এই নয়া ব্রিজ ২টি ছয় লেনের মতোই নির্মিত হবে। তবে কাজ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে করে ইঞ্জিনিয়ারসহ জেলা প্রশাসকরা আশা রাখছেন আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ। পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দ হতে পারে চৌরঙ্গী থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত ৪ লেন নির্মাণের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *