Gold Mines: এদেশেও বহু সোনার খনি রয়েছে এবং সে সম্পর্কে অনেকেরই কমবেশি ধারণা রয়েছে। ভারতে সোনার খনি অবস্থিত কোলার কিংবা অন্য কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে। জানলে অবাক হয়ে যাবেন স্বর্ণ মানচিত্রে নতুন সংযোজন ঘটেছে বাংলারই প্রতিবেশী রাজ্যের নাম। রাজ্যটির নাম হল উড়িষ্যা, হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিপুল পরিমাণে সোনার ভান্ডারের হদিশ মিলেছে। সেই কারণে উড়িষ্যা হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বর্ণখনি কেন্দ্র।
উড়িষ্যার কোথায় মিলেছে এই স্বর্ণ খনির (Gold Mines) সন্ধান?
সম্প্রতি বিধানসভায় এই প্রসঙ্গটা নিয়ে আলোচনা করেছেন উড়িষ্যার খনিজ এবং খনন মন্ত্রী বিভূতিভূষণ জেনা। রাজ্যের কোথায় কোথায় সোনার খনির সন্ধান মিলেছে তা জানা যাবে এই প্রতিবেদনে। প্রাথমিক গবেষণা মারফত সুন্দরগড়, নবরংপুর, আঙ্গুল ও কোরাপুট জেলার বেশ কিছু বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিশাল সোনার খনি মজুত রয়েছে। এছাড়াও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যে মলকানগিরি, সংবলপুর ও বৌদ্ধ জেলাগুলিতেও সোনার খনি রয়েছে।
অনুসন্ধানে কি পেয়েছে ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা GSI?
উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার নাম অনেকেই শুনেছেন, ইতিমধ্যেই চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। সোনার উপস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা রীতিমতো তুঙ্গে। বেশ কিছু সূত্র বলছে, জশিপুর, সুরিয়াগুডা, রুয়ানসি, ইডেলকুচা, মারেদিহি, সুলেপাত ও বাদামপাহাড় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সোনার হদিস মিলেছে। আগেও সোনার খনির (Gold Mines) ইঙ্গিত মিলেছিল দেবগড় জেলার আদাসা-রামপল্লী অঞ্চলে। এমনটাই তথ্য তুলে ধরেছে ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা GSI, তারা তামার অনুসন্ধান চালানোর সময় সোনার খনির সামান্য ইঙ্গিত পেয়েছিল। গভীরভাবে এই ইঙ্গিত জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কি সিদ্ধান্ত নিল উড়িষ্যা সরকার?
এই বিপুল সম্পর্কে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র রাজ্যের নয় ঘুরে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি। রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথমবার সোনার খনিকে (Gold Mines) ব্লক নিলামে তোলা হচ্ছে। প্রথমবারের জন্য নিলামে চিহ্নিত করা হয়েছে দেবগড়ের একটি স্বর্ণখনিকে। এর ফলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটছে রাজ্যের খনি শিল্পতে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে যে, কেওনঝড় জেলার গোপুর-গাজিপুর, মঙ্কদচুয়া, সালেকানা ও দিমিরিমুন্ডা অঞ্চলে আরো প্রচুর পরিমাণে সোনা মজুত রয়েছে। এই এলাকার খনিজ দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে রাজ্য সরকার।।
রাজ্যের অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই সোনার খনি। স্বর্ণখনির বাণিজ্যিক উৎপাদন যদি একবার শুরু হয়, তাহলে বিনিয়োগের নতুন দিক খুলে যাবে। অর্থনীতি উন্নত হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যের রাজস্ব আয়ও বহুগুণ বেড়ে যাবে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, একবার নিলাম শেষ হয়ে গেলে দ্রুত শুরু হয়ে যাবে খননের এর কাজ। নতুন এলাকাতেও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। এর ফলে মিলতে পারে আরো বেশি পরিমাণে স্বর্ণ ভাণ্ডারের (Gold Mines) হদিশ।
স্বর্ণখনির মানচিত্রে উড়িষ্যা
ভারতবর্ষের মানচিত্রে উড়িষ্যার নাম জ্বলজ্বল করবে এই স্বর্ণখনির (Gold Mines) জন্য। উড়িষ্যা ভারতবর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে যে, কোলার গোল্ড ফিল্ডের পর এবার উড়িষ্যা তার বিপুল খনিজ সম্পদের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। স্বর্ণ খনিগুলোকে ভবিষ্যতের জন্য কিভাবে কাজে লাগানো হবে সেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশবাসীর। একবার যদি বাণিজ্যিকভাবে সোনা উত্তোলন করা শুরু হয়, তাহলে ভারতের অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।