New Passport Rule: দেশজুড়ে রমরমিয়ে বাড়ছে ভুয়ো নথির দৌরাত্ম্য। গত কয়েক বছরে এইসব অসাধু ব্যক্তিদের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ করা গিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি এবং তাদের সাথে ভারতের কূটনৈতিক পরিস্থিতির অবনতিতে আরোও বেশি করে ভারতীয় নথি জাল করার খবর সামনে আসছে। তাই প্রতিটি দপ্তরের তরফে নথি জাল করা আটকে দেওয়ার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
পাসপোর্ট (New Passport Rule) জালিয়াতি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল লালবাজার। এবার গ্রাহকের জমা দেওয়া সমস্ত তথ্য সঠিক কিনা বিচার করে দেখতে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে নথি যাচাই সম্পূর্ণ হলে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আবেদনকারীর নথিগুলো আসল নাকি ভুয়ো। আর এর মাধ্যমেই আসল এবং জাল পাসপোর্টের মধ্যে তফাৎ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে লাল বাজার। তবে পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে এই পদ্ধতি কার্যকর হলে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে।
সাধারণ ভাবে পাসপোর্ট তৈরি করতে আবেদনকারীদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্মের শংসাপত্র জমা দিতে হয় গ্রাহকদের। এবার সেইসব নথি আসল কিনা যাচাই করতে পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে। এর দায়িত্ব দেওয়া হবে পুলিশের সাপোর্ট অফিসারের উপর। নথি পরীক্ষা সম্পুর্ণ হলে পাসপোর্ট অফিসারকে সমস্ত তথ্য দেওয়া হবে। এখন পাসপোর্ট (New Passport Rule) পেতে সময় লাগে ১৫ থেকে ৩০ দিন। এবার নথি যাচাই শুরু হলে আরেকটু বেশি সময় লাগবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আরো পড়ুন: এই সব যাত্রীরা বিনা পয়সায় চড়তে পারবেন ট্রেনে, নতুন উদ্যোগ রেলের
এর আগেও লালবাজারের তরফে থানার ওসিদের সতর্ক করা হয় পাসপোর্ট (New Passport Rule) নথি যাচাইয়ের ব্যাপারে। সেক্ষেত্রে আবেদন নেওয়ার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসারদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া নথি যাচাইয়ের জন্য অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনারদের নিদেশ দেওয়া হয়। এবার আরও বলা হয়েছে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ মূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে কিনা তাও যাচাই করে দেখে নিতে হবে। ভিন রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই নিয়মে যাচাই করার কথা জানানো হয়।
পাসপোর্ট তৈরিতে নতুন নির্দেশ (New Passport Rule) দেওয়া হয়েছে যে পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদনকারীর ঠিকানায় যেতে হবে পুলিশ অফিসারদের। সেই নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আবেদনকারীর সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের ছবিও আপলোড করতে হবে অ্যাপে। ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জিপিএস ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলতে হবে যাতে ওই স্থানের অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশের হিসেব বোঝা যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির চক্রগুলিকে দমন করতেই এই পদক্ষেপ নিল লালবাজার।