প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভে উপস্থিত হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। শুধুমাত্র যে সাধারণ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে তা নয় বহু নামিদামি তারকারাও পুণ্যলাভের আশায় পাড়ি দিয়েছে প্রয়াগরাজে। মহাকুম্ভে এবার পৌঁছে গেলেন নিমরত কৌর। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণি সঙ্গমে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহু তারকারাও ডুব দিয়েছেন। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন নিমরত কৌর। পুণ্যস্নান করার জন্যই মহাকুম্ভে উপস্থিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
১৪৪ বছর আগে আয়োজিত হয়েছিল এই মহাকুম্ভ। আবার চলতি বছরে আয়োজিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। প্রথম এবং শেষ মহাকুম্ভ হিসাবে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল বিশেষ দিনগুলোতে। সেই পুণ্যস্নানের বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন নিমরত কৌর নিজেই। কুম্ভে পুণ্যস্নান করে যেন এক আলাদা অনুভূতি হয়েছে এই অভিনেত্রীর। নিজের অভিজ্ঞতাকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছে না তিনি।
পোশাকের ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন কেন আসলো এই অভিনেত্রীর? পরনে তার ছিল গেরুয়া বস্ত্র। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। ত্রিবেণি সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন এই অবস্থায়। সমাজমাধ্যমে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি ভগবানের কাছে হাতজোড় করে কিছু চাইছেন। নিমরত লিখেছেন, যে অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছে তা সত্যি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এই মহাকুম্ভে যোগ দিতে পেরে তিনি সত্যিই সৌভাগ্যবতী। শিখ পরিবারে বড় হয়েছেন এই অভিনেত্রী। সেই কারণেই কুম্ভস্নান তার পরিবারের কাছে এবং তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই ঐতিহাসিক মহাকুম্ভ দেখে নিমরতের ইচ্ছা করছে এর ইতিহাসকে পর্যালোচনা করা।
আরও পড়ুন: ১৪৪ বছর পর আয়োজিত মহাকুম্ভ, পুণ্যস্নান করে কেমন অভিজ্ঞতা হল দেবলীনার?
এই মহাতীর্থক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড়ো হয়েছে তা কিন্তু নয়, এসেছে দেশ-বিদেশ থেকেও। মহাকুম্ভে যেভাবে তারা এসে যোগ দিচ্ছেন,তা দেখে অভিভূত নিমরত কৌর। এমনকি অভিনেত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনকেও। তিনি লিখেছেন, এই মহাকুম্ভ সামলানোর জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ কারণ তারা না থাকলে সুষ্ঠুভাবে কখনোই এই মহাসমারোহ করা সম্ভব হতো না। ২-৩ ঘণ্টা ঘুমিয়ে যেভাবে পুলিশ এবং প্রশাসন এই উৎসবের দেখাশোনা হচ্ছে, তা দেখার মতো।
তবে বিতর্ক কিন্তু পেছন ছাড়েনি নিমরত কৌরের। গত বছর অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বিচ্ছেদের জল্পনায় নাম জড়িয়ে যায় নিমরত কৌরের। সমাজমাধ্যমের পাতাতে এই খবর চোখে আসত। নিমরতের জন্যই নাকি ভাঙতে বসেছে বচ্চন দম্পতির সম্পর্ক। তবে আজ প্রমাণিত সবকিছুই গুঞ্জন ছিল, রটানো খবর একেবারেই সত্যি নয়। অভিষেক ও ঐশ্বর্য যে একসঙ্গেই দিব্যি আছেন, তা সবার কাছেই জলের মতো পরিষ্কার।