Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড, চাপের মুখেই কি নতি স্বীকার করছে পাকিস্তান! আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মূলত ভারত পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যেতে রাজি হচ্ছে না। যার কারণে কোথায় খেলা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহোনিস নকভি সম্প্রীতি এই বিষয়ে কথা বলার জন্যই দুবাই গেছিলেন সংযুক্তি আরব আমিরশাহী ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের সাথে দেখা করতে। ভারতের জেদের কাছেই বোধ হয় নতী স্বীকার করতে চলেছে পাকিস্তান।
ভারতের পক্ষ থেকে খুব স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলার জন্য পাকিস্তান যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমন কি বিসিসিআই এর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল ভারতীয় দল পাকিস্তান যাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভারত সরকারের উপরই ছাড়া রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আইসিসির পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তা ১৫ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, আইসিসির পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে পাকিস্তানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্য পাকিস্তান যাবেনা। এমতাবস্তায় হাইব্রিড মডেল ছাড়া আর কোন উপায় সামনে খোলা নেই।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান এবং আরব আমিরশাহী ক্রিকেট দলের প্রধানের মধ্যে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে তথ্যসূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান জানিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) সম্পূর্ণ খেলাটি তারা পাকিস্তানে আয়োজন করতে প্রস্তুত। তবে ভারতের আইসিসি বোর্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবে পাকিস্তান। ভারত চাইছে হাইব্রিড মডেলের মাধ্যমে খেলা হোক। তাদের এই ম্যাচগুলি দুবাইতে আয়োজন করা হোক। হয়তো সেই কারণেই দুবাই গিয়েছিলেন নকভি। কারণ খেলা দুবাইতে হলেও আয়োজকদের হিসেবে যেতে পাকিস্তানের নাম রয়েছে তাই সমস্ত আয়োজন তাদেরকেই খুঁচিয়ে দেখতে হবে।
আরো পড়ুন: পিঙ্ক বল টেস্টে ভারতের পরিসংখ্যান গর্ব করার মতোই, কলঙ্কও আছে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সম্পর্কে পাকিস্তান বোর্ডের প্রধান জানিয়েছেন তারা কোনো রকম হটোকারী সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নন। আইসিসি যা সিদ্ধান্ত নেবে অথবা চ্যাম্পিয়ন ট্রফির (Champions Trophy) মূল বোর্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবে পাকিস্তান। হবে তারা আশাবাদী যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিশ্চয়ই প্রত্যেকটির দেশের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া হবে। খেলা হাইব্রিড পদ্ধতিতে হবে নাকি অন্য কোন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে তা এখনো স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পয়লা ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা ছিল জয় শাহর। কিন্তু তিনি এই মুহূর্তে এই দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে দায়িত্ব ত্যাগ করার আগে(পূর্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) খেলার সূচিপত্র প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু আদতে খেলার আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে বেছে নেওয়া হবে কিনা তা নিয়েই রয়ে গেছে দ্বন্দ্ব। এই মুহূর্তে নতুন কারো হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই হয়তো এক মাস বৃদ্ধি পেতে পারে তার কাজের মেয়াদ। অর্থাৎ পয়লা ডিসেম্বর ২০২৪ এর বদলে পয়লা জানুয়ারি ২০২৫ এ আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্ত হতে চলেছেন জয় শাহ।