Santragachi: রাস্তাঘাটে চলতে গেলে খুব সাবধানে চলতে হয়, কারণ দুর্ঘটনার ভয়। গত মঙ্গলবারই হাওড়ার সাঁতরাগাছি ব্রিজের উপরে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। একটি ডাম্পারকে পাশ কাটাতে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে একজন তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং কোনআ এক্সপ্রেসওয়ের যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকেই।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে গাড়ি চালকদের বক্তব্য হল কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে গাড়ির চাপ প্রত্যেকদিন বাড়ার ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েকে জাতীয় সড়কের তকমা দেওয়া হয়েছে ও এই এক্সপ্রেসওয়ের দুইদিকে লেন বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সাঁতরাগাছি (Santragachi) রেল ব্রিজের পাশে আর একটি রেল ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা প্রতিবছর শোনা গেলেও বাস্তবে হাতে কলমে কিছুই কাজ শুরু হয়নি।
যে কারণে সরু ব্রিজে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে ও তার ফলে সেতুতে যানজট লেগে যায়। এর মধ্যেই সাঁতরাগাছি ব্রিজ ও স্টেশনের সামনে যাত্রী তোলার বেআইনি বাসস্ট্যান্ডগুলিতেও ভিড় বাড়ছে। যেকারণে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। এখন কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ কমাতে সাঁতরাগাছি (Santragachi) ব্রিজের বিকল্প একটি সেতু তৈরির দরকার।
বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কিছুটা করে অংশ ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে লেন বাড়ানোর জন্যে এর ফলেই দুর্ঘটনা হচ্ছে। ব্যস্ত এই রাস্তা ব্যবহার করেই কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে সরাসরি জাতীয় সড়কে যাওয়া যায়। এই রাস্তায় গাড়ির চাপ অত্যন্ত বেশি অনান্য রাস্তার তুলনায়। সরু রাস্তায় ভিড় থাকায় অনেকেই তাড়াহুড়োতে অফিস বা বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। আবার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই আছে সাঁতরাগাছি স্টেশন (Santragachi), আর স্টেশনের পরে আবার কোনও বাসস্ট্যান্ড নেই।
আরো পড়ুন: আবারও যাত্রী ভোগান্তি মেট্রো রেলে, বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা
বাসস্ট্যান্ড না থাকার কারণে বাসগুলি যাত্রী তোলার জন্যে এক্সপ্রেসওয়ের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে ফলে বাড়তে ভিড় যানজট আরও বাড়তে থাকে আর রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে যায়। যে কারণে এই ক্ষেত্রটিতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটে। এই সকল সমস্যা মেটানোর জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কয়েক বছর আগে গড়ফা ব্রিজের কাছে সরকারি বাসস্ট্যান্ড বানানো হয়। তবে সেখান থেকে দুই একটি ছাড়া সেরকম কোনও বাসই যায় না। এক্ষেত্রে বাসচালকদের বক্তব্য দূরত্বের জন্য যাত্রীরা সাঁতরাগাছি (Santragachi) স্টেশনে নেমে লাগেজ নিয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে চান না। বাস ও লরির নাইট পার্কিং হিসেবে নতুন বাসটি ব্যবহার হয়।
অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে বাসস্ট্যান্ড তৈরির পর সেখান থেকে বিদ্যাসাগর সেতু পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার তৈরির কাজও শুরু হয়, তবে সেই কাজও সম্পন্ন হয় নি। যে কারণে যানজট আর দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে আর দুর্ঘটনা দেখে মানুষ যেমন রীতিমতো রেগে গিয়েছেন তেমনি এই প্রসঙ্গে পুলিশ বলেছেন, তাদের পক্ষ থেকে যান নিয়ন্ত্রণ যতটা করা সম্ভব ততটাই করা হচ্ছে।